
ডেস্ক রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’র মধ্যেই চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫ দশমিক চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে চীনের অর্থনীতি। চীনের সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স (এনএবি) এক মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।
এক প্রতিবেদেন এএফপি জানিয়েছে, চলতি ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ১ শতাংশের মধ্যে থাকবে। সেই হিসেবে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ধারণার চেয়েও বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে চীনের।
তবে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক বৈরিতা শুরু না হলে এই প্রবৃদ্ধির হার আরও বেশি হতো।
চীনের অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং এটি পুরোপুরি রপ্তানিনির্ভর। বিশ্বের বহু দেশে বহু ধরনের পণ্য রপ্তানি করে দেশটি।এত দিন চীনের সবচেয়ে বড় বাজার ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারি মাসে সব ধরনের চীনা পণ্যের পর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি। পরে ২ ফেব্রুয়ারি এক ঘোষণায় এই শুল্ক ৩৪ শতাংশে উন্নীত করেন ট্রাম্প।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ ট্রাম্প শুল্কের হার আরও বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেন। এরপর কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি শুল্ক বাড়ায় দু’দেশ। শেষ পর্যন্ত চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক পৌঁছায় ১৪৫ শতাংশে এবং পাল্টায় মার্কিন পণ্যের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে চীন।
সেই হিসেবে প্রবৃদ্ধি আশাব্যাঞ্জক হলেও আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে এনবিএস। বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশ আগেরও দিন দিন আরও কঠিন ও জটিল হয়ে উঠছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে হলে আমাদের আরও তৎপর হতে হবে।”