চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্সেনালকে হতাশায় ভাসিয়ে সেমিফাইনালে বায়ার্ন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
বুন্দেসলিগায় ১১ বছরের আধিপত্য হারালেও বায়ার্ন মিউনিখ ইউরোপের সেরা হওয়ার দৌড়ে আরও বড় ধাপ ফেললো। আর্সেনালকে হতাশায় ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠলো তারা। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পর দ্বিতীয় জার্মান ক্লাব হয়ে ইউরোপ সেরার মঞ্চে টিকে থাকলো থমাস টুখেলের দল। সেমিফাইনালে তারা খেলবে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে।
বুধবার নিজ মাঠে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন জিতেছে ১-০ গোলে। প্রথম লেগে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ২-২ গোলে ড্র করেছিল দুই দল। দুই লেগের অগ্রগামিতায় ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে চার বছরে প্রথমবার সেমিফাইনালে মিউনিখ ক্লাব।
রাফায়েল গুয়েরেইরোর ক্রসে দৌড়ে এসে বলের সঙ্গে নিখুঁত সংযোগে জাল কাঁপান জশুয়া কিমিখ। তার আগে দুইবার গোলপোস্টে আঘাত করে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।বায়ার্নের শীর্ষ গোলদাতা হ্যারি কেইন ম্যাচ শেষে বলেন, ‘অবিশ্বাস্য জয়। আমাদের জন্য এই মৌসুম ছিল কঠিন। আমাদেরকে লড়াই করতে হতো। আমরা জানতাম এটা কঠিন খেলা কিন্তু ঘরের মাঠে আমাদের ভক্তদের সামনে ভিন্ন কিছু করতে পারি, এই বিশ্বাস ছিল।’
প্রথমার্ধে দুই দল সতর্ক থেকে খেলেছে। তবে আক্রমণে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। কেইন দুটি শটে গানারদের ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন।২০০৯ সালের পর প্রথমবার সেমিফাইনালে ওঠার মিশনে নামা আর্সেনাল ২৩তম মিনিটে গোল খেতে বসেছিল। নুসাইর মাজরাউইর কাটব্যাক থেকে নেওয়া শট গোলবারের পাশ দিয়ে বাইরে পাঠান ডেভিড রায়া। পরের মিনিটে আর্সেনাল কিপার ঠেকিয়ে দেন জামাল মুসিয়ালার শট।
যদিও প্রথমার্ধের সেরা সুযোগ পেয়েছিল আর্সেনাল। ৩২তম মিনটে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির প্রথমবার নেওয়া শট সরাসরি কিপার ম্যানুয়েল ন্যয়ারের হাতে আটকায়। এনিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড ৫৮তম ম্যাচ ক্লিনশিট রাখলেন জার্মান কিপার।বিরতির পর লিওন গোরেতকার হেড ক্রসবারে আঘাত করলে ফিরতি শটে গুয়েরেইরো পোস্টে আঘাত করলে হতাশ হতে হয় বায়ার্নকে। শেষ পর্যন্ত তারাই হেসেছে বিজয়ের হাসি।
আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা বেশ কয়েকটি বদল আনলেও জার্মান বক্সে সত্যিকারের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। কোচ বলেছেন, ‘ফলটা আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক ও হতাশার। ছোট ব্যবধানে হারতে হলো। প্রথম লেগে আমরা বাজেভাবে দুটি গোল খেয়েছিলাম। এই ম্যাচে দেখা গেলো কোনও একটি ভুল কিংবা কারও ব্যক্তিগত ঝলক পার্থক্য গড়ে দিলো। ওই গোল তাদের সত্যিই ভালো অবস্থানে নিয়েছিল। আমরা ছিলাম বিবর্ণ, তাতে করে তারা সুযোগ পেয়ে গেলো। এ কারণেই আমাদের বিদায় নিতে হলো।’ এই হারে আর্সেনালের সপ্তাহ কাটলো হতাশায়। প্রিমিয়ার লিগে রবিবার অ্যাস্টন ভিলার কাছে হেরে শিরোপার দৌড়ে বড় ধাক্কা তারা খেয়েছিল চার দিন আগে।