নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ভাইবোনদের আমার শুভেচ্ছা জানাই। তারপর হাসতে হাসতে বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার নাতিপুতি। কারণ আমি তো নানি-দানি হয়ে গেছি।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশের মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুনীতির বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র চলছে। বিদেশি মুরব্বিদের ডাকছে শেখ হাসিনাকে হঠাও। নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। আজ বাংলাদেশে স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে। এটা কার অবদান? সারাদেশে বিদ্যুত নিশ্চিত করেছে কে? এক সময় এ দেশ অন্ধকারে ছিল।
কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়ে মানবতার মা হিসেবে ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় পলিটিশিয়ান শেখ হাসিনা।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেবেন বলে জানান আয়োজকরা। সমাবেশে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ শেখ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
এর আগে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিভিন্ন গেটের সামনে জড়ো হতে থাকেন। মিছিল-স্লোগানে টিএসসি গেইট, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট, বাংলা একাডেমির সামনের গেইটসহ পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে।