ছাত্রলীগ কর্মী হাসিব হত্যা: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ২১ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৪

খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনা নগরীর খালিশপুর থানা ছাত্রলীগ কর্মী হাসিবুর রহমান নিয়াজকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ২১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৫ আসামিকে খালাস দেন আদালত।

খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে সৈকত, মো. মেহেদী হাসান রাব্বি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য অন্তু, মো. সাজ্জাত হোসেন, ইমদাদুল ইসলাম হৃদয়, মো. আরিফ ওরফে চোরা আরিফ, মো. মুন্না, রফিকুল হাসান শাওন ওরফে আতাং বাবু, মো. সাইফুল, মো. মোস্তাক আহমেদ, মিঠাই হৃদয়, মো. ফাহিম ওরফে কালা ফাহিম, রুবেল, মো. মিজানুর রহমান, সবুজ, মো. ফয়েজুর রহমান আরাফাত, আশিকুর রহমান মোল্লা, রাব্বি ওরফে নাটা রাব্বি, ইয়াছির রাব্বি ওরফে জুয়েল ওরফে নাটা জুয়েল, সাকিব শেখ ও নাঈমুর রহমান ফাহিম।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- মো. তুষার, রায়হান, রুনু হওলাদার, সালমান ও নাইম বাবু ওরফে পয়েন্ট বাবু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট রাতে খালিশপুর লাল হাসপাতালের সামনে ক্রিয়েটিভ কাটস অ্যান্ড কফি হাউজ নামের একটি দোকানে একদল যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী হাসিবকে হত্যা করে। এছাড়া তাদের ধারালো অস্ত্রাঘাতে মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য মো. জুবায়ের হোসেন ও তার বন্ধু মো. রানা আহত হন। হাসিবকে কুপিয়ে হত্যার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ তখন ভাইরাল হয়েছিল।

এ ঘটনায় হাসিবের বাবা মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ওই বছরের ২১ আগস্ট ২০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এস আই মিজানুর রহমান ২৬ জনকে আসামি করে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তবে ঘোষিত রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বাদীপক্ষ। মামলার বাদী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল একাধিক আসামির ফাঁসি হবে। কিন্তু তা হয়নি। সে কারণে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট রোমানা তানহা বলেন, রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। সে কারণে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি অন্তুর মা খালিশপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শারমিন রহমান শিখা বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। মামলায় সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।