নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বর্তমান সময়ে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্কে ছেদ পড়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। এ জন্য অভিভাবক, রাষ্ট্র, সমাজ এমনকি নিজেদেরও দায়ী করেছেন তারা। সম্পর্কের এই দূরত্ব কমিয়ে আনতে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন শিক্ষকরা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফাউন্ডেশন অব এডুকেশনাল ট্রান্সপারেন্সি (এফইটি) আয়োজিত ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী চিরায়ত সম্পর্কের পুনরুত্থান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন।শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীকে কেন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। দেশ, রাজনীতি সম্পর্কে তাদের জানানো যেতে পারে। তারা সংবিধান বোঝে না কিন্তু দেশ পরিবর্তনের চিন্তা তাদের তৈরি হয়। তাদের যতœ করলে সমাজের প্রতি যতœশীল হবে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভূমিকাও অনেক বড়।আলোচকরা বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সম্পর্ক থাকার কথা সেখান থেকে কিছুটা বিচ্যুতি ঘটেছে। প্রতিদিন বাসের হেল্পার থেকে শুরু করে নানা স্থানে ঝামেলা হচ্ছে। শিক্ষকের দায়িত্ব এখানে শিক্ষার্থীকে বিষয়গুলো বোঝানো। শিক্ষার্থী সমাজে সেতুর মতো কাজ করতে পারেন।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষক গালিব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের কিছুটা পতন যে হয়েছে সেটা সত্যি। শিক্ষার্থীরা যত ওপরের ক্লাসে যাচ্ছে, ততই শিক্ষকদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে। এখন দেখতে হবে, কেন দূরত্ব বাড়ছে। আসলে আমরা তাদের কতটুকু সময় দিচ্ছি। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছি।’ এ সময় তিনি এই পদ্ধতিতে থেকে বেরিয়ে আসার কথাও বলেন।অধ্যাপক উপল তালুকদার বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব আছে বলে মনে করি না। কোনও কিছুই চিরায়ত নয়, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন তো হবেই। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং সরকারের সমন্বয় ঘটাতে হবে।’
বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, আশির দশক থেকে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে। এখন থেকে ৪০ বছর আগে এক বিঘা জমিতে যে ফসল হতো এখন তার তিনগুণ হয়। খাদ্য, বস্ত্রের অভাব কেটে গেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখছি ধনী শ্রেণীর হাতে এর নিয়ন্ত্রণও চলে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩ রকম স্কুল ও পাঠ্যপুস্তক আছে। কিন্তু সংবিধানে লেখা আছে এক রকম থাকবে।’