বিনোদন ডেস্ক:
‘রাতে সাইফ আলী খান যখন হাসপাতালে আসেন, তখন আমিই প্রথম তার সঙ্গে কথা বলি। তিনি পুরো রক্তাক্ত ছিলেন। শরীর দিয়ে রক্ত ঝরছিল, কিন্তু তার সাহস যেন সিংহের মতো ছিল। ছয়-সাত বছরের ছোট্ট ছেলেকে হাত ধরে নিয়ে তিনি হেঁটে আসেন।’
এভাবেই সাইফের সাহসিকতা বর্ণনা করলেন মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী নীরজ উত্তমণি। তিনি বলেন, ‘সিনেমার হিরো হওয়া এক কথা, কিন্তু বাস্তব জীবনে এভাবে বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজের বাসায় ছুরি হাতে হামলার শিকার হন সাইফ আলী খান। অজ্ঞাত এক ব্যক্তি সাইফের ওপর বারবার ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সাইফকে তৎক্ষণাৎ লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে তৈমুর।
সাইফের ওপর হামলার ঘটনা শিরোনামে আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। কেউ কেউ দাবি করেছিলেন, সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার বড় ছেলে ইব্রাহিম আলী খান। তবে চিকিৎসক নীরজ উত্তমণি নিশ্চিত করেন, সাইফের সঙ্গে ছিলেন শুধু তৈমুর।
চিকিৎসক নীরজ উত্তমণি জানান, ‘সাইফ এখন বিপদমুক্ত। তার সব শারীরিক সূচক স্বাভাবিক রয়েছে। আইসিইউ থেকে তাকে বিশেষ কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে ইনফেকশনের ঝুঁকি এড়াতে আপাতত তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।’
নিউরোসার্জন নিতিন ডাঙ্গের নেতৃত্বে সাইফের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সাইফকে শুক্রবার হাঁটানো হয়েছে এবং এতে কোনো সমস্যা হয়নি। আজ তাকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়েছে।’
হামলাকারীকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। গণমাধ্যমে খবর এসেছে, হামলাকারী নাকি সাইফের বাসাতেই লুকিয়ে ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
সাইফের সাহসিকতা ও দ্রুত হাসপাতালে আসার কারণে গুরুতর বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসক ও ভক্তরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।