জেলা প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান।
নিহত মো. কালাচান সরদার (৪৮) উপজেলার উত্তর হলদিয়া এলাকার রশিদ সরদারের ছেলে।এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে কালাচানকে পিটিয়ে আহত করেন তার প্রতিবেশীরা।
কালাচান সরদারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমুস সালেহীন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারামারির ঘটনায় আহত অবস্থায় কালাচান সরদারকে হাসপাতালে আনা হয়। তার মাথায় আঘাতের গুরুতর জখম ছিল। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। আর্থিক সমস্যা থাকায় তারা নিয়ে যেতে পারেননি। রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালাচান সরদারের সঙ্গে প্রতিবেশী বাবু ও হিরুদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার বিকেলে বাবু ও হিরু কালাচানদের বাড়িতে হামলা চালায়। বিষয়টি জানতে পেরে জমির কাগজপত্র নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িতে যান কালাচান। ইউপি সদস্যকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। এ সময় বাড়ির পাশের রাস্তায় কাঠ দিয়ে বেদম পেটানো হয় তাকে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যান বাবু ও হিরু। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে মারা যান কালাচান।
নিহতের মেয়ে সাদিয়া আক্তার বলেন, আমার বাবা সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। বাবার সম্পত্তি দখলের জন্য হিরু, বাবুরা চেষ্টা করছেন। বাবা তাঁর সম্পদ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। সেই বিরোধের জেরে বাবাকে ইচ্ছেমতো পেটাল। আমাদের চোখের সামনে বাবাকে মারতে মারতে মেরেই ফেলল। আমরা বাবার হত্যার বিচার চাই।
লৌহজং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল হাসান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবুর স্ত্রী মাবিয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।