ক্রীড়া ডেস্ক :
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর টানা তিন হার। জয়ের আশায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। জয়তো দূরের কথা। কি হাল হলো টাইগারদের! শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশি বোলাররা। তবে ওইখানেই শেষ। এরপরের গল্পটা শুধুই হতাশার। কুইন্টন ডি ককের ১৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা।
বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও হতাশার ষোলকলা পূর্ণ বাংলাদেশের। শুধু আসা যাওয়ার গল্প ব্যাটারদের। প্রাপ্তি বলতে কেবল মাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি। তার শতরানের ইনিংসের পরও ব্যাটিং ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে বিশ্বকাপে টানা চতুর্থ হারের তেঁতো স্বাদ পেলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
৩৮৩ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। দু’জন মিলে ৩০ রানের জুটি গড়েন। তবে এরপরেই ছন্দপতন ঘটে টাইগার ব্যাটিং লাইনে। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তানজিদ তামিম ১৭ বলে ১২ রান করেন। আর রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হাসান শান্ত। মাত্র ১ রান করে আউট হন সাকিব আল হাসান।
এরপরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করতেই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একেবারে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
এরপর নাসুম আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। দু’জন মিলে ৪১ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ১২২ রানে ১৯ বলে ১৯ রান করে ফিরে যান নাসুম।
এরপর ক্রিজে আসা হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। সাবলীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
তবে দলীয় ১৫৯ রানে ২৫ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান হাসান। ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝে এক লড়াই করে ১০৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ।
সেঞ্চুরির পরও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে দলীয় ২২৭ রানে ১১১ বলে ১১১ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর শেষ ব্যাটার হিসেবে মুস্তাফিজ আউট হলে ৪৬ ওভারে ৪ বলে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।