নিজস্ব প্রতিবেদক:
উদ্বোধনকালীন সময়ে পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে টিকটক করা যুবক বায়েজিদ তালহাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগে বহাল রাখার পর তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আজ রোববার (২৫ জুন) নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে ভিডিও ধারণ করে তা ভাইরাল করা ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, হাত দিয়ে নয়, সরঞ্জাম দিয়ে নাট-বল্টু খুলে পরে ভিডিও করেন ওই ব্যক্তি। এ ঘটনায় রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এর আগে পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে টিকটক করা যুবক বায়েজিদ তালহাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে কবে কোন দিন মুক্ত হয়েছেন সেটি নিশ্চিত করেননি ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ জামিন বহালের এ আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন বায়েজিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আসামি বায়েজিদকে জামিন দেন। একই সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরপরই একটি টিকটক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক হাত দিয়েই পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে ফেলেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, এই হলো আমাদের পদ্মা সেতু। আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু। এই নাট খুইলা এহন আমার হাতে। এসময় পাশ থেকে অন্য এক ব্যক্তি বলেন, ভাইরাল কইরা ফালায়েন না। পরে ভিডিও ভাইরাল হলে ওই বছরের ২৬ জুন বিকেলে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে টিকটক করা সেই যুবক বায়জিদ তালহাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবকের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ। পরদিন ২৭ জুন বিকেলে শরীয়তপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালেহুজ্জামান আসামির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন বায়েজিদ তালহা। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তাকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।