‘জিহাদ’ শব্দকে অপব্যবহার করা হচ্ছে : শাহরুখ খান

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক :

কাশ্মিরের প্যাহেলগাঁওয়ে স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ হারায় বহু পর্যটক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। আর এতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সারা ভারতবর্ষ। সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বলিউডের তাবড় তারকারা; ইন্ডাস্ট্রির কিং শাহরুখ খানও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।কিং খান সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘প্যাহেলগাঁওয়ে যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে, তাতে শোকপ্রকাশের কোনো ভাষা নেই। এই সময়ে শুধু বিধাতার কাছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোনও কিছুই করার থাকে না। এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাইছি’।

তবে কাশ্মিরে হামলার এই ঘটনায় ধর্মীয় বিষয় উঠে আসছে, আসছে মৌলবাদের বিষয়টিও; একই ধারায় ইসলাম ধর্মের দিকেও আঙুল তোলা হচ্ছে। এমন আবহে শাহরুখ খানের একটি পুরোনো ভিডিও ভাইরাল; যেখানে শাহরুখ খান ইসলামের ‘জিহাদ’ কথাটির ব্যাখ্যা দেন। ভাইরাল সেই ভিডিওতে শাহরুখকে বলতে শোনায়, ‘আমি মুসলিম, আমাদের ধর্মে একটা শব্দ রয়েছে, চিরকাল যার অপব্যবহার হয়ে আসছে, সেটা হল জিহাদ। যে শব্দের আসল অর্থ হল, আমাদের খারাপ চিন্তাভাবনা দূর করা কিংবা ভেতরের খারাপ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা- এটাকেই বলে জিহাদ। জিহাদের মানে যেখানে সেখানে মানুষ খুন করে বেড়ানো নয়।’

বলিউড বাদশা কখনও তার সিনেমার মাধ্যমে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন। আবার কখনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলে সকল ধর্ম নির্বিশেষে দেশের দুস্থদের সাহায্যও করেছেন। তিনি বুঝিয়েছেন মানবতার ধর্মে বিশ্বাসী তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের তিন সন্তানকে কোনো ধর্মের আদর্শে বড় না করে শুধু ভারতীয় পরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাঠ দিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন  

আসলে প্রত্যেক মানুষই শিল্পী : নওশাবা জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের ক্যারিয়ারটা শুরু হয়েছিল খুব সম্ভাবনা নিয়ে। নাটক, টেলিফিল্ম-বিজ্ঞাপনচিত্র থেকে শুরু করে সিনেমায় অভিনয় করেও নজর কেড়েছেন তিনি।এক সাক্ষাৎকারে নওশাবা বলেন, ‘যেকোনো পারফরমেন্সই যেকোনো আর্ট ফর্মেই ভীষণভাবে আমাকে আন্দোলিত করে এবং আনন্দ দেয়। প্রত্যেকটি মানুষই আসলে শিল্পী এবং যখন আমি দেখি সেটা স্টেজে বিভিন্ন পথনাটকে সেটা মানে চলচ্চিত্রের পর্দায় সেই প্রকাশটা হওয়াটা খুব জরুরি।’ ‘এই সময়ে বাংলাদেশে সংস্কৃতির চর্চা যত বেশি হবে সেটা আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যাওয়াকে অনেক অনেক ত্বরান্বিত করবে। সেটা মানসিকভাবেও হবে এবং আমাদের ভেতরে এতদিনের চাপা অভিমান কষ্ট এবং আমরা জুলাই আন্দোলনে যা ফেস করেছি।’তার কথায়, ‘প্রত্যেকটি মানুষের ভেতরে এক ধরনের একটা অনিশ্চয়তা আস্থাহীনতা এবং ট্রমা কাজ করেছে সেইটার আসলে একভাবেই সম্ভব সেটা হচ্ছে যত বেশি আপনি নাচ গান নাটক ফ্যাশন শো কবিতা লেখা গানের সৃষ্টি হবে তত বেশি এ জাতি আস্তে তাদের আস্থাটা ফিরে পাবে।’অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমি নিজে চারুকলায় পড়াশোনা করেছি, পেইন্টিং এ মাস্টার্স করেছি এরপরে এতকাল ধরে যে অভিনয় করছি থিয়েটার পাপেট আমার কাছে মনে হয় যে আমি ব্যক্তিগতভাবে যতবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি সেটার একমাত্র শক্তি হিসেবে চালিকা কাজ করেছে।’ শেষে বলেন, ‘আমার আর্টিস্টিক সত্তা আমার সংস্কৃতির চর্চা সেইটা যখন আরো বড়ভাবে দলীয়ভাবে হয় সেরকম সেটা খুব দারুণভাবে হয় এবং সেটার মানে একেবারে তীর্থস্থান হচ্ছে শিল্পকলা স্টেজ।’