নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম. কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বি.এম. ইলিয়াস কচি, অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এর আগে অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এস.এম. আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম। জি কে শামীমের দেহরক্ষীরা হলেন, মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
চলতি বছরের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। তার সাত দেহরক্ষীরও চার বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে তিন কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।