জেলা প্রতিনিধি,কক্সবাজারঃ
কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেড়ে আসা অন্তত ১০টি লবণ বোঝাই ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে সমুদ্রে ডুবে গেছে। এতে ৩ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
নৌ পুলিশ বলছে, বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সাগরে বাতাস বেশি ছিল। ওই সময় ট্রলারগুলো ডুবে গেছে। কর্ণফুলীতে প্রবেশের আগে আনোয়ারা গহিরা এলাকায় এসব ট্রলার ডুবে যায়। তবে কোনো নাবিক হতাহত হননি। কক্সবাজার এলাকা থেকে লবণ বোঝাই ট্রলারগুলো আসছিল চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট এলাকায়। সেখানে লবণ খালাস করার কথা ছিল। কিন্তু আসার পথেই ডুবে যায় ট্রলারগুলো।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের তাণ্ডবে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টির বেশি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারগুলোর দাম প্রায় দুই কোটি টাকা। এছাড়া সেখানে থাকা লবণের দাম হবে আরও এক কোটি টাকা।চট্টগ্রাম থেকে লবণ বোঝাই করে বরিশাল যাচ্ছিলেন মো. মামুন সিকদার। সেটিও ডুবে গেছে চট্টগ্রাম ও হাতিয়ার মাঝামাঝি এলাকায়।
মামুন সিকদার বলেন, ‘৫ হাজার মণ লবণ বোঝাই করে বরিশাল যাচ্ছিলাম। ট্রলারটি ভাড়া করা ছিল। যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম ও হাতিয়ার মাঝামাঝি লাল নতুন হারি এলাকায় ট্রলারটা ডুবে যায়। লবণের আনুমানিক বাজার দর ২৫ লাখ টাকা। সব সাগরে ডুবে গেছে।’ কক্সবাজারের পেকুয়ার সোনালী বাজার এলাকার এমভি মোহরম বিবি নামে আরও একটি ট্রলার ডুবে গেছে সমুদ্রে। ট্রলারটির মালিক লুৎফুর রহমান। ট্রলারটিতে ১ হাজার ৫০০ মণ লবণ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
ডুবে যাওয়া লবণ বোঝাই ট্রলার এমভি আনোয়ারের মালিক পরিবারের সদস্য এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘১২৫০ মণ লবণ নিয়ে পেকুয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রলারটি। আনোয়ারার গহিরা এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে ট্রলারটি ডুবে গেছে। আমরা এখনও ট্রলারের খোঁজ পাইনি। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
নৌ-পু্লেিশর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার এএফএম নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সকালের ঝড়ে বেশকিছু লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবে গেছে। ট্রলারগুলো অধিকাংশই কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, পেকুয়া এলাকা থেকে আসা। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ১০টির মতো ট্রলার ডুবে গেছে। আমরা উদ্ধার তৎপরতায় আছি। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা নেই।’