টুঙ্গিপাড়ায় যুবদল নেতার মামলায় আ’লীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশিত: ১২:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও ভাঙচুরের প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার বেলায়েত টুঙ্গিপাড়ার কুশলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহাম্মেদ আলী বিশ্বাস।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় বেলায়েত হোসেন ১ নম্বর আসামি ছিলেন। একই মামলায় গত রোববার রাতে মামলার ২ নম্বর আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মিজান সিকদারকে উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের নীলফা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মিজান কুশলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিজ বাড়িতে আসার কর্মসূচি ছিল। ওই দিন বিকেল ৪টায় তাঁর গাড়িবহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া পৌঁছালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এজাহারে আরও বলা হয়, এসএম জিলানীকে স্বাগত জানানোর জন্য টুঙ্গিপাড়ার কুশলী ইউনিয়নের নীলফা বাজারে অবস্থান করছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তখন ঘোনাপাড়ার ওই মারামারির ঘটনাটি জানাজানি হলে কুশলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় জিলানীকে স্বাগত জানানোর জন্য নির্মিত তোরণ ভাঙচুর ও ফেস্টুন ছেঁড়া হয় ।
এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন মিয়া বাদী হয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বেলায়েত হোসেন সরদারসহ আওয়ামী লীগের ৬১ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ জনকে।