
ক্রীড়া ডেস্ক :
বাংলাদেশের ৯ জন নারী ফুটবলার ভুটানে আছেন লিগ খেলতে। আজ সকালে কৃষ্ণা রাণী সরকার রওনা হয়েছেন শেষ সদস্য হিসেবে। রুপ্না, মাসুরার সঙ্গেই তার যাওয়ার কথা ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পেতে বিলম্ব হওয়ায় আজ সকালে তিনি ভুটানের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হলেন।
২০২২ সালে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়। সেই সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষ্ণা রাণী সরকার। গতি, শুটিং, ড্রিবলিংয়ে অসাধারণ দক্ষতা কৃষ্ণার। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা নারী ফুটবলারও কৃষ্ণা। আকস্মিক আঙুলের ইনজুরিতে কৃষ্ণার ছন্দপতন হয়। অনেক দিন খেলার বাইরে ছিলেন। লড়াই করে মাঠে ফিরলেও আবার নিজের সেই ছন্দ এখনো পাননি।
ভুটান জাতীয় নারী দলকে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানেই হারায়। নারী ক্লাব ফুটবলে তারা নিজেদের ধীরে ধীরে তৈরি করছে। গত বছর শুরু হওয়া এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভুটানের ক্লাব রয়েল থিম্পু কলেজ অংশগ্রহণ করেছে। সেই দলে বাংলাদেশের তিন ফুটবলার ছিল। অথচ বাংলাদেশের কোনো ক্লাব এতে অংশ নেয়নি।
এবার ভুটান নারী লিগে বাংলাদেশের দশ ফুটবলার তিন ক্লাবে খেলবে। কৃষ্ণা, মাসুরা, রুপ্না ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে ; সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়া ও মনিকা পারো এফসি আর থিম্পু সিটিতে সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার খেলবেন। জুনের তৃতীয় সপ্তাহে এশিয়ান কাপ বাছাই বা এর আগে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার কাউকে দলে ডাকলে তার আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করবে বাফুফে। ফিফা উইন্ডোতে ক্লাব খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য।