ট্রাম্পকে যারা ভোট দিয়েছিলেন চাকরিচ্যুত করলেন তাদেরও

প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জেনিফার পিগট তার একতলা বাড়ির বাইরে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লাল-নীল রঙের প্রচারণার পতাকা ঝুলিয়েছিলেন। পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ট্রাম্প। হঠাৎ করেই পিগটকে সিভিল সার্ভিসের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এটা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই। এখন তিনি বুঝতে পারছেন যে তিনি কত বড় ভুল করেছিলেন। খবর রয়টার্সে

পশ্চিম ভার্জিনিয়ার পার্কার্সবার্গে অবস্থিত ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ফিসকাল সার্ভিস থেকে ফেব্রুয়ারিতে বরখাস্ত হওয়া ১২৫ জনেরও বেশি ব্যক্তির মধ্যে পিগটও রয়েছেন। সেখানকার বিপুল সংখ্যক মানুষ রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিগট বলেন, আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কেউই বুঝতে পারেননি যে, এই প্রশাসন ক্ষমতায় থাকলে আমাদের জীবনের ওপর কতটা বিপর্যয় নেমে আসবে। ৪৭ বছর বয়সী এই নারী বলেন, এখন তিনি যা জানতে পারছেন, তা আগে জানলে তিনি কখনই ট্রাম্পকে ভোট দিতেন না।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো দেশের জন্য বেশ কিছু বিষয়ে বেশ ভালোই কাজ করছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়টি বুঝতে পারছি না। বিএফএসে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছিলেন পিগট। সম্প্রতি তিনি পদোন্নতি পেয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে বরখাস্ত করতে শুরু করলে তিনিও এর মধ্যে পড়ে যান।

পিগট একজন রক্ষণশীল নারী। তিনি তিনবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এবার তিনি ট্রাম্পের বিভিন্ন পদক্ষেপে বেশ হতবাক হয়ে গেছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, অপচয়, জালিয়াতি এবং অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ফেডারেল সরকারকে পুনর্গঠনের জন্য একটি ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী, ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্টে পরাজিত করেন।