ডিপসিকের খরচের তুলনায় লাভ ৫৪৫ শতাংশ!

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫


নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

নতুন বছরের শুরুতেই এআইর জগতে আলোড়ন তৈরি করেছে চীনের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ডিপসিক। আর ওয়ানও ভিথ্রি মডেল দুটিতে সমৃদ্ধ ডিপসিক এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট নামের চ্যাটবট নিয়ে আসার মাধ্যমে চ্যাটজিপিটির মতো শীর্ষ চ্যাটবটের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে ডিপসিক। উপরন্তু মাত্র ৬ মিলিয়ন ডলারে তৈরি এই মডেলগুলো। যেখানে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে আমেরিকান এআই প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার জানা গেল, প্রতি ১ ডলার খরচের বিপরীতে ডিপসিকের মুনাফা ৫৪৫ ডলার!

ডেভেলপারদের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গিটহাবে পোস্ট করে এ তথ্য জানিয়েছে ডিপসিক। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আর ওয়ান ও ভিথ্রি এআই মডেল দুটির দৈনিক ‘ইনফারেন্স’ খরচ হচ্ছে ৮৭ হাজার ৭২ ডলার। এক্ষেত্রে ডিপসিকে ব্যবহৃত এনভিডিয়ার প্রতিটি এইচ৮০০ চিপের ঘণ্টা প্রতি খরচ ধরা হয়েছে ২ ডলার। ‘ইনফারেন্স’ হচ্ছে প্রশিক্ষিত এআই মডেলগুলো দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো। খরচের বিপরীতে ডিপসিকের এআই মডেলগুলোর দৈনিক আয় ৫ লাখ ৬২ হাজার ২৭ডলার। অর্থাৎ, খরচের অনুপাতে মুনাফা ৫৪৫ শতাংশ। সে হিসেবে, ডিপসিকের বার্ষিক আয় ছাড়িয়ে যাবে ২০০ মিলিয়ন ডলার।

তবে এর মানে এই নয় যে, খরচ-মুনাফার এই অনুপাতেই ডিপসিক প্রতিদিন আয় করে চলেছে। আসলে এটি তাত্ত্বিক বা থিওরেটিক্যাল একটি হিসেব। অর্থাৎ, আদর্শ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ আয় হলেই কেবল এই অনুপাতে মুনাফা অর্জন করতে পারবে ডিপসিক। প্রতিষ্ঠানটির তরফ থেকেও বলা হয়েছে যে, তাদের প্রকৃত আয় এর চেয়ে অনেক কম। ডিপসিকের এআই অ্যাসিস্ট্যান্টসহ তাদের বেশির ভাগ সার্ভিসই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। ফলে গুটিকয়েক সার্ভিসের মাধ্যমেই তারা কেবল আয় করতে পারে।

কিন্তু তা সত্ত্বেও ডিপসিকের প্রকাশিত খরচ-মুনাফার এই অনুপাত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তাদের মুনাফা লাভের সম্ভাবনার একটি চিত্র তুলে ধরল, যেটা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ডিপসিকের লক্ষ্যও তা-ই।

তবে এতে করে আরো বিপাকে পড়েছে ওপেনএআই, গুগল ও অ্যানথ্রপিকের মতো আমেরিকান এআই প্রতিষ্ঠানগুলো। ডিপসিকের আগমনে আমেরিকানদের বিলিয়ন ডলার এআই বিনিয়োগ এমনিতে ছিল প্রশ্নের মুখে। এবার ডিপসিকের খরচ-মুনাফার অনুপাত প্রকাশিত হওয়ায় তাদের ওপর বিনিয়োগকারীদের চাপ আরো বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ডিপসিকের কম্পিউটেশনাল খরচও অনেকাংশে কম।