সাজ্জাদ হোসেন:
ঢাকা জেলার ছয়টি উপজেলার ৫ লাখ ২৬ হাজার ২৪০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী ৭৪ হাজার ৮২ শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৫২ হাজার ১৫৮ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ইয়াসমিন নাহার।
সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহসিন মিয়ার সঞ্চালনায় এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. রিজওয়ানা পারভীন, ডা. কাজী মো. ওমর ফারুক, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানা পারভীনসহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ ’ ক্যাপসুল শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়রিয়া-নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমায়, অন্ধত্ব দূর করে। এজন্য শিশুদেরকে বাড়ির পাশের কেন্দ্রে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে অসুস্থ শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
এসময় বলা হয়, ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন মানে অনেকেই মনে করেন শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো ছাড়া আরও কিছু খাওয়ানো হবে। আসলে বিষয়টি তা নয়। ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি আমরা কিছু মূল্যবান স্বাস্থ্যবার্তা প্রচার করি। যা অভিভাবকরা আমলে নিলে শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে। এ কারণে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ালে শুধু চলবে না, বরং আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন বার্তাসমুহ মুখে মুখে যে যেভাবে পারি প্রচার করতে হবে। তাহলে সরকারের এই ক্যাম্পেইন সফল হবে।
ঢাকার ৬টা উপজেলার মধ্যে ধামরাই, দোহার, কেরাণীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, সাভার ও সাভার পৌরসভা এলাকায় এ ক্যাম্পেইন চলবে। ছয় উপজেলার মোট ১৭৪৩ টি স্থায়ী ও ১২৫ অস্থায়ী কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়ানো হবে। এতে নিয়োজিত থাকবেন ৩ হাজার ৪৮৬ জন স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়াও পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা এ কাজে সরাসরি অংশ নেবেন।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো; শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।