স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় যে কোনো নাগরিক যে কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে চলাফেরা করতে পারবেন- এমন কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের বার্তা দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের অবাধে চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নেয়া কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এ জন্য ঢাকায় জনসাধারণের চলাচল কিছুটা শিথিল করে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
শনিবার ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), সহকারী কমিশনার (এসি) এবং থানার ওসিদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় এই নির্দেশনা দেন তিনি।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, অনেক মানুষের রান্না-বান্নার ব্যবস্থা নেই, তাই তাদের জন্য খাবার হোটেল, বেকারি খোলা থাকবে। এ সব হোটেল এবং বেকারিতে কর্মরতদের সড়কে চলাচল করতে দিতে হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য পণ্যের দোকান খোলা থাকবে এবং এ সব দোকানে কর্মরতরা কাজে যোগ দিতে পারবেন।
খাবার হোটেল থেকে গ্রাহকদের খাবার পার্সেল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে কেউ হোটেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসে খেতে পারবেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় যে কোনো নাগরিক একা যে কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে চলাফেরা করতে পারবেন।
চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা, নিরাপত্তাকর্মী, মেডিকেল স্টাফদের মতো জরুরি সেবাদানকারীদের সহযোগিতা করতে হবে।
যে কোনো ক্ষেত্রে নাগরিকদের সঙ্গে পেশাদার আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
পুলিশ সদস্যরা এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে পুলিশের ভাবমূর্তি ও ভালো কাজ ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়।