ক্রীড়া ডেস্ক:
বাফুফে নির্বাচনে আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। দুপুর দুটা ছিল শেষ সময়। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন হবে নাকি কেউ প্রত্যাহার করবে এ নিয়ে ছিল দিনভর কৌতূহল। দুপুর একটা ৫৫ মিনিটে এসে তরফদার রুহুল আমিনের প্রতিনিধি প্রত্যাহার পত্র জমা দেন।
মিনিট দশেকের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বের হয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি অবশ্য। কিছুক্ষণের মধ্যে তরফদার রুহুল আমিনের প্রত্যাহার পত্র পাওয়া যায়। সেখানে তিনি সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঁচটি কারণ দেখিয়ে প্রত্যাহার পত্র দেন। বাফুফে নির্বাচনী বিধিমালায় নির্বাচন সংক্রান্ত সকল আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর করতে হয়। ফলে তরফদার রুহুল আমিনের প্রত্যাহারের আবেদন যথাযথ হয়নি।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন তরফদার রুহুল আমিন ও ইমরুল হাসান। ইমরুল হাসানকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য নানামুখী চাপে ছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে দৃঢ় অবস্থানে ছিলেন।
এতে ফুটবলাঙ্গনে গুঞ্জন ছিল, তরফদার রুহুল আমিন শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়াবেন। সেই গুঞ্জন সত্যি করে তরফদার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার আবেদন করেন। আবেদন যথাযথ না হওয়ায় তার নাম ব্যালটে থাকার কথা। ইমরুল হাসানকে সেই হিসেবে ভোটেই নির্বাচিত হতে হবে।
বাফুফে নির্বাচনে গতকাল সদস্য পদ থেকে দুই জন প্রত্যাহার করেছেন। আজ সকালে বাফুফে নির্বাহী সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ প্রত্যাহার করেছেন। ১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে প্রার্থী ৩৭ জন। সহ-সভাপতি চার পদের বিপরীতে ৬ জন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ২ জন ও সভাপতি পদে ২ জন প্রার্থী।