তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখে টিম ডিএমপি। ২০১৫ সালে বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত তাজিয়া মিছিলের নিরাপত্তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগে হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া শোক মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আগামী ২৯ জুলাই পবিত্র আশুরা। সারা বিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র আশুরা বা ১০ মহরম পালন করে থাকে। শিয়া সম্প্রদায় আশুরা উপলক্ষে সুন্নিদের থেকে আলাদা কিছু রীতি ও নিয়ম পালন করে। সাড়ে ৪০০ বছর ধরে শিয়া সম্প্রদায় এই ইমামবাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল ও প্রার্থনাসহ অন্যন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে। মূল অনুষ্ঠানটি পালন করা হবে ২৯ জুলাই। প্রতিবারই শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদী যারা, তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।

ডিএমপি প্রধান বলেন, তারপর থেকে এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাকে আমরা বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখি। যাতে পুনরায় কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে না পারে। তার প্রেক্ষাপটে আজ আমরা এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখলাম। আমরা ইমামবাড়া এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। রাস্তাগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এই এলাকার সামনে-পেছনে সাদা পোশাক ও পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুরো এলাকাটা আমরা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করাব। এছাড়া মেশিনের সাহায্যে ম্যানুয়াল সুইপিং করা হবে, যাতে পুনরায় কোনো দুষ্কৃতকারী এখানে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটাতে পারে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ১০ মহরম উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বিভাগ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। আমরা আশা করবো, ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এই অনুষ্ঠান পালিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আয়োজকদের প্রতি আমাদের কিছু পরামর্শ রয়েছে। তাজিয়া মিছিলে যেন উচ্চস্বরে ঢাক-ঢোল না বাজানো হয়। গায়ে চাদর ঢেকে কোনো লোক যেন চলাফেরা না করে। শরীরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা শিশুদের জন্য দৃষ্টিকটু হয়। এসব বিষয় এড়িয়ে চলা। আয়োজকদের সঙ্গে মিটিং করে এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। উনারাও কিছু নিরাপত্তা পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করবো সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারবো বলে জানান ঢাকার পুলিশ প্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক।