বাগেরহাট প্রতিনিধি:
প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর রোববার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন। সকাল থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পর্যটক ও বনজীবীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন।
সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা এলাকার বনজীবী রাসেল হাওলাদার এ দিন ভোরে সুন্দরবনে যাওয়ার আগে মুঠোফোনে জানান, তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষেধ ছিল। বাড়িতে বসে কাজাল মেরামতে আমাদের সময় কেটেছে। বন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে ভোরে আমরা সুন্দরবনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম বলেন,
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘বনের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় সতর্ক থেকে বনজীবী ও দর্শনার্থীরা নিয়ম মেনে অনুমতি নিযে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন। আমরা বনজীবী ও টুরিস্টদের সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, টানা তিন মাস বন্ধ থাকায় সুন্দরবনের প্রাণ প্রকৃতি আগের তুলনায় সজীব হয়েছে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছি। তবে বৈধভাবে প্রবেশ করে হরিণ শিকার অথবা কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে যাতে কেউ যুক্ত হতে না পারে সেজন্য বন বিভাগ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সুন্দরবনের জল-স্থলভাগ শুধু জীববৈচিত্র্যেই নয়, মৎস্য সম্পদের আধার। সে কারণে প্রথমে সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্ট্রিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০২২ সাল থেকে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাস সময় বৃদ্ধি করে বন মন্ত্রণালয়। এ সময় সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।