কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
রাজারহাটে তিস্তা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় বিপদ সীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও কুড়িগ্রাম পাউবো সূত্রে জানা গেছে, রোববার তিস্তা নদীতে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এতে নিম্নাঞ্চলে সহস্রাধিক বসতভিটা প্লাবিত হয়। তবে রাত থেকেই পানি কমতে শুরু করে এবং পানিবন্দী পরিবারগুলোতে স্বস্তি ফিরতে থাকে।
সোমবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পানি প্রবাহের চাপ কমে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঁঙা ইউনিয়নের চরগতিয়াশাম, খিতাবখাঁ, ডারিয়ার পাড়, বুড়িরহাটসহ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি স্থানে নদী তীরবর্তী পরিবারগুলোতে ডাইরিয়া, জ্বর, সর্দির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ঘড়িয়াল ডাঁঙ্গা ইউপি সদস্য মামুন মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদী ড্রেজিং না হওয়ায় নিম্নাঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হয় এবং ভাঙন দেখা দেয়। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া এই এলাকার মানুষের মধ্যে শান্তি আসবে না।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান সোমবার সন্ধ্যায় তিস্তায় ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বরাদ্দ না থাকায় শুধুমাত্র সরকারি স্থাপনা ছাড়া অন্য কোনো ভাঙনের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কিছু করার নেই। তবে আগামী শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার কয়েকটি চরে ড্রেজিং করা হবে বলে জানান তিনি।