ইসলামী ডেস্ক রিপোর্টঃ
শীতের তীব্রতা, গরমের উচ্চ তাপমাত্রা সবই মানুষকে নাজেহাল করে তোলে। গরমের তীব্রতায় অনেকেই বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হন। এজন্য সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।ঋতু পরিক্রমা এবং শীত-গ্রীস্মের পরিবর্তন আল্লাহ তায়ালার নির্দশনগুলোর মধ্যে অন্যতম।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
اِنَّ رَبَّکُمُ اللّٰهُ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ فِیۡ سِتَّۃِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسۡتَوٰی عَلَی الۡعَرۡشِ ۟ یُغۡشِی الَّیۡلَ النَّهَارَ یَطۡلُبُهٗ حَثِیۡثًا ۙ وَّ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ وَ النُّجُوۡمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِاَمۡرِهٖ ؕ اَلَا لَهُ الۡخَلۡقُ وَ الۡاَمۡرُ ؕ تَبٰرَکَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ
তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ যিনি ছয় দিনে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। দিনকে তিনি রাতের পর্দা দিয়ে ঢেকে দেন, তারা একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরণ করে এবং সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি তাঁরই আজ্ঞাবহ। জেনে রেখ, সৃষ্টি তাঁর, হুকুমও (চলবে) তাঁর, বরকতময় আল্লাহ বিশ্বজগতের প্রতিপালক। (সূরা আরাফ,(৭), আয়াত, ৫৪)।
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন,
فَالِقُ الۡاِصۡبَاحِ ۚ وَ جَعَلَ الَّیۡلَ سَکَنًا وَّ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ حُسۡبَانًا ؕ ذٰلِکَ تَقۡدِیۡرُ الۡعَزِیۡزِ الۡعَلِیۡمِ
তিনিই রাতের আবরণ বিদীর্ণ করে রঙ্গিন প্রভাতের উন্মেষকারী, তিনিই রাতকে বিশ্রামকাল এবং সূর্য ও চাঁদকে বানিয়েছেন গণনার জন্য। এসব মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞাতা কর্তৃক নির্ধারিত। (সূরা আনআম, (৬), আয়াত, ৯৬)।
এইসব পরিবর্তন নিয়ে কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এসবের মধ্যে শীত-গ্রীষ্মকাল নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। তিনি জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগকে শীত-গ্রীষ্মের পরিবর্তনের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদিসে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নাম আল্লাহ তায়ালার কাছে আবেদন করল, হে আমার প্রতিপালক! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলছে, আমাকে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার অনুমতি দিন। তখন আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামকে দুইবার শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগের অনুমতি দিলেন। একটি শীতকালে এবং অপরটি গ্রীষ্মকালে। অতএব তোমরা শীতকালে যে হিমঋতু অনুভব করো তা জাহান্নামের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে এবং গ্রীষ্মকালে যে প্রচণ্ড উষ্ণতা অনুভব করো তা এই কারণেই।(বুখারি, হাদিস, ৬১৭, ৩২৬০)।