করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে তৃতীয় দিনের মতো চলছে সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ)। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠিন অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরিচালিত হচ্ছে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের করা হচ্ছে জরিমানা। এছাড়া আটকও করা হচ্ছে।
এদিকে তিনদিনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীতে এক হাজার ৪৯৯ জনকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে পাঠিয়েছেন। আদালত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬-এর বিভিন্ন ধারায় একশ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচশ টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে এক থেকে তিনদিনের কারাভোগের আদেশ দেন আদালত।
আদালত থেকে পাওয়া তথ্যমতে, কঠোর বিধিনিষেধ চলার তৃতীয়দিন পর্যন্ত এক হাজার ৪৯৯ জনকে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ২৬৩ জন, শুক্রবার ৬২৯ জন ও শনিবার ৬০৭ জনকে জরিমানা করা হয়।
এদের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে না পারায় বৃহস্পতিবার ৩ জন, শুক্রবার ৫৪ জন ও শনিবার ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
জরিমানার টাকা দেয়ার পর আদালত থেকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে আটকদের। আর যারা জরিমানা দিতে পারছেন না তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। কারাভোগ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে। অনেকে বিধিনিষেধ অমান্য করে অকারণে বাসা থেকে বের হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে আদালতে পাঠাচ্ছে। আদালত তাদের জরিমানা করছেন। যারা জরিমানার টাকা দিচ্ছেন তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আর যারা দিতে পারছেন না তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ‘অকারণে যারা বাসার বাইরে বের হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়া উচিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।’