ডেস্ক রিপোর্ট:
গাজায় ত্রাণের জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দিয়েছে মিসর। তবে ত্রাণের প্রথম চালানেই কফিন পাচ্ছে গাজাবাসী। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজা থেকে বিবিসির সাংবাদিক রুশদি আবু আলোউফ বলেন, তিনি মিসর সীমান্ত থেকে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দেখেছেন। এসব ট্রাকের মধ্যে একটিতে কফিন রয়েছে।
বিবিসির ওই সাংবাদিক বলেন, তিনি গুণেছেন গাজায় ইসরায়েল ২০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে একটিতে কফিন রয়েছে। আর বাকি ট্রাকগুলোতে গাজার জন্য মেডিসিন ও জ্বালানি রয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৪ হাজার ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলে বোমবর্ষণে এসব মানুষ নিহত হন।
ইসরায়েলের এ বোমা হামলার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস হলো গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে বোমা হামলা। এ হামলায় প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় আহত শত শত রোগী ও গৃহহীন অসংখ্য বাসিন্দা ‘নিরাপদ’ ভেবে ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
হামলার পর এক বিবৃতি ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছে। হামলার ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি যুদ্ধাপরাধ।
এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি ভয়াবহ অপরাধ, গণহত্যা। ইসরায়েলকে যে সব সমর্থন করছে এ হামলার দায় তাদেরও রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা এই হামলা বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, তাদের কাছে এখনো সব তথ্য আসেনি। সম্ভব হলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এদিকে জাতিসংঘসহ মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো হাসপাতালে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইরান, তুরস্ক, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার-রাষ্ট্রপ্রধানরাও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।