নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ-মাংসের যোগান দিতে ও দুগ্ধ শিল্পের বিকাশে খামারিদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থাসহ সরকারের সুদৃষ্টি দিতে আহ্বান জানিয়েছেন এই শিল্পের উদ্যেক্তারা।
রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত জাতি তৈরিতে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই। তাছাড়া দুগ্ধ ও গরু মোটাতাজাকরণ শিল্প কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমরা খামারিরা দেশের অর্থনৈতিক খাতে অবদান রেখে যাচ্ছি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে তাদের কথা কেউ ভাবে না।
তিনি বলেন, তরল দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এ শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে দেশীয় খামারিরা। অতি দ্রুত খামারিদের জন্য উন্নত জাতের প্রভেন, ক্রস ব্রিড ও ভালো মানের আমদানিকৃত দুধ, মাংস বা ডুয়েল পারপাস জাতের বুলের সিমেন সরবরাহ নিশ্চিত করা ছাড়া দুধ ও মাংস উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। দেশে দুধ ও মাংসের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খামারিদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা, খামারিদের জন্য গো খাদ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের ফিডমিলগুলো শুল্কমুক্তভাবে গো খাদ্য উপাদান আমদানির সুযোগ পায়। কিন্তু বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করতে পারেন না। তাদের প্রায় ২৫ পার্সেন্ট অধিক শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু আমাদের খামারিরা মূলত গো খাদ্য কিনে বাণিজ্যিক আমদানি কারকদের কাছ থেকেই। ফিড মিলারা এই বাড়তি প্রায় ২৫ পার্সেন্ট সুবিধা যা পাচ্ছে তা মূলত খামারিদের জন্য। কিন্তু তারা খামারিদের না দিয়ে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে গো খাদ্য বিক্রি না করে বাণিজ্যিক আমদানি কারকদের ট্যাক্সের টাকা হিসাব করে বাড়তি দামে খাদ্য বিক্রি করে। এতে খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টু, মালিক মো. ওমরসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।