সাইফুল ইসলাম:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, দুদক-টিআইবি কেউ কারও প্রতিপক্ষ না। দুদক একটা স্বাধীন সংস্থা আইন মোতাবেক কাজ করে। টিআইবি একটা এনজিও, তারা পারসেপশন বা ধারণা প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দুদক সচিব বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচকের (সিপিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় দুই ধাপ অবনমন হয়ে ১০ম স্থানে অবস্থা করছে বাংলাদেশ। যদিও এ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনো অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, টিআই দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহের আলোকে আটটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পাদিত জরিপের ভিত্তিতে বাংলাদেশের দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রণয়ন করেছে। তারা কোন কোন বিষয়ের ওপরে কী কী প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন কার্যক্রম করেছে, সেগুলো সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। সুতরাং, উক্ত প্রেক্ষাপটে টিআইয়ের ধারণাসূচকের বিষয়ে দুদকের পক্ষে মন্তব্য করার কোনো অবকাশ নেই। টিআইয়ের প্রতিবেদনকে অস্পষ্ট উল্লেখ করে দুদক সচিব বলেন, টিআই নীতিমালা অনুযায়ী দুর্নীতি ধারণাসূচক (সিপিআই) প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা ‘অস্পষ্ট’। তাদের সবকিছুই তো ধোঁয়াশা, কোথা থেকে কতটুকু কি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা পরিষ্কার না। কোন কোন বিষয়ের ওপরে কী কী প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, যেগুলো সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে কোনো কিছুর উলে¬খ নেই। তিনি আরও বলেন, টিআই নীতিমালা অনুযায়ী দুর্নীতি ধারণাসূচক প্রণয়ন করা হয় কয়েকটি জরিপের ওপর ভিত্তি করে। এই জরিপগুলোতে মূলত ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, সংশ্লিষ্ট খাতের বিশ্লেষকদের ধারণার প্রতিফলন ঘটে। এক্ষেত্রে তারা কি বিবেচনায় নিয়েছে সেটির ব্যাখ্যা নেই।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দুদক-টিআইবি কেউ কারও প্রতিপক্ষ না। দুদক একটা স্বাধীন সংস্থা আইন মোতাবেক কাজ করে। টিআইবি একটা এনজিও, তারা পারসেপশন বা ধারণা প্রকাশ করেছে। কীসের ভিত্তিতে করেছে তাও তারা বলেছে। কাজেই তাদের দুদকে ডাকার কোনো প্রয়োজন নেই। দুদক তার আইন অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।