দেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি,চট্টগ্রামঃ  

বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে এমভি আবদুল্লাহ। রবিবার (১২ মে) সকালে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। সকাল সাড়ে ১০টায় জাহাজটির অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৩০০ নটিক্যাল মাইল দূরে। সোমবার (১৩ মে) জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে।এ প্রসঙ্গে কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তা আবদুল মুবিন বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে যে গতিতে আসছে এতে মনে হয় সোমবার রাত ৮টার মধ্যে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ সোমবার কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে। রবিবার সকালে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে দেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। সকাল সাড়ে ১০টায় জাহাজটির অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৩০০ নটিক্যাল মাইল দূরে।’

কেএসআরএম’র মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন। গত ৩০ এপ্রিল ভোররাত ৪টার দিকে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনা পাথর নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়। জাহাজটি সোমবার চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এরপর নাবিকদের তীরে নিয়ে আসা হবে। বর্তমানে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে দেশের জলসীমায় অবস্থান করছে।’

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে দীর্ঘ এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক।এর আগে, জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরবর্তীতে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনা পাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজসহ ২৩ নাবিক মুক্তি পায়।

এসআর শিপিংয়ের অধীনে মোট ২৪টি জাহাজের মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত করা হয় এমভি আবদুল্লাহকে। ২০১৬ সালে তৈরি এই বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম হয় এমভি আবদুল্লাহ।