জেলা প্রতিনিধি,রাজবাড়ীঃ
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট। প্রতিদিন শত শত যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। বর্তমানে এ সড়কে যাতায়াতকারীদের নজর কাড়ছে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল।মহাসড়কের দুই পাশে লাল কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বৈশাখের রোদ্দুরের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম এই পুষ্পরাজি। সবুজ চিরল পাতার মাঝে যেন আগুন জ্বলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের বাইপাস সড়ক থেকে শুরু করে ক্যানাল ঘাট এলাকার মহাসড়কের দুই পাশে ছেয়ে গেছে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ আর পশু-পাখি যখন বেসামাল, ঠিক তখনই কৃষ্ণচূড়ার ফুলে বিচিত্র রুপ নিয়েছে দৌলতদিয়ার মহাসড়ক। এ যেন কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গিন রঙে মেতেছে সড়কটি। কৃষ্ণচূড়া ফুলে ভরা গাছগুলো নজর কারছে দর্শনার্থীসহ এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের।
এ সড়কে যাতায়াতকারী রিকশাচালক সোলেমান খান বলেন, যখন যাত্রী নিয়ে মহাসড়কের পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচ দিয়ে যাই, তখন মনটা খুব ভালো লাগে। শরীরটা গাছের ছায়ায় শীতল হয়ে যায়।স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব রানা বলেন, কৃষ্ণচূড়া ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষ্ণচূড়ার রং দিয়ে দৌলতদিয়া মহাসড়ক সাজতে শুরু করেছে। সে কারণে কয়েকটি সেলফি তুলতে এসেছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ও শাজাহান শেখ বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে দৌলতদিয়া ঘাটের বাইপাস সড়ক নতুন রুপে সাজে।কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে যায় পুরো সড়ক। দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসে ছবি তুলতে।বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দীন বলেন, দৌলতদিয়া মহাসড়ক দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগে। ফুলগুলো দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। যা সত্যিই অসাধারণ।