নাইকো দুর্নীতি মামলার সব সাক্ষীকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ

প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সব সাক্ষীকে আদালতে হাজির করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ নির্দেশ দেন।
গত তিনটি ধার্য তারিখে আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণার আবেদন জানান। ওই আবেদন শুনানি শেষে আদালত আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সব সাক্ষীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে এই মামলার কার্যক্রম চলে। এ পর্যন্ত মামলার বাদী এবং কানাডার পুলিশ সদস্য লয়েড স্কোয়েপ, কেভিন ডুগানসহ মোট সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সর্বশেষ বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আব্দুল বাকী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। এই মামলায় অন্য যারা আসামি তারা হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশারফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।