ক্রীড়া ডেস্ক:
জাতীয় দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করার খুব ইচ্ছা ছিল হান্নান সরকারের। বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে ভালো কাজ করার পুরস্কারস্বরূপ প্রমোশন পেয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হয়েছিলেন ২০২৪ সালে। গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কমিটিতে দুই বছর মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই নির্বাচকের পদ ছাড়লেন হান্নান। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে গতকাল পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি।
বিসিবির একটি সূত্র জানায়, এক মাসের নোটিশে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে হান্নান সরকার নিজেও বিসিবির চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মূলত কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এ ব্যাটার। খেলা ছাড়ার পর কোচিংকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরবর্তী সময়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের নির্বাচক হিসেবে বিসিবির চাকরিতে যোগ দেন হান্নান।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল হান্নানের। ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই এই বেতন আকর্ষণীয় মনে হয়নি তাঁর কাছে। নির্বাচক প্যানেল থেকে বাদ পড়ে গেলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে হয়েছে ১৭ টেস্ট আর ২০ ওয়ানডে খেলা এ ব্যাটারের কাছে। যে কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই নিজেই নির্বাচকের চাকরি ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের খেলা চলাকালে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে একান্তে কথাও বলেছেন তিনি। নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাছের অনেকের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন হান্নান। নির্বাচকের চাকরি ছাড়ার পেছনে হান্নানের যুক্তি হলো, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচকের পদটি খুবই সম্মানজনক। কিন্তু বাস্তবতা হলো আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকার মতো না। প্রথমত বেতন কম, দ্বিতীয়ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। এ ধরনের চাকরিতে বেতন বেশি হলে ঠিক ছিল। দুই বা তিন মেয়াদে চাকরি করলে সঞ্চয় থাকত। এখন দিন এনে দিন খাওয়ার মতো। এরচেয়ে কোচিং করালে ভবিষ্যৎ আছে। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ভাই আমাদের পথপ্রদর্শক। আশা করি, তিনি জাতীয় দলের প্রধান কোচ হবেন। ভালো কাজ করলে আমরাও একদিন জাতীয় দলে কাজ করার সুযোগ পেতে পারি। বিসিবিতে সম্মানজনক বেতন পেলে কোচ হিসেবে থাকতে চাই।’
বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কাজ করা বড় দলের কোচরা ভালো সম্মানী পান। বিসিবিতে চাকরি করেও লিগে কাজ করার সুযোগ আছে। মিজানুর রহমান বাবুল ফরচুন বরিশাল এবং তালহা জুবায়ের খুলনা টাইগার্সের প্রধান কোচ। লেভেল টু কোচেস কোর্স করা হান্নানের বিশ্বাস সুযোগ পেলে ভালো করবেন তিনিও।