ক্রীড়া ডেস্ক:
২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় বাফুফে নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কেনার শেষ দিন শনিবার একের পর এক চমক দেখা যায়। সেই চমকগুলো মূলত তরফদার রুহুল আমিনের অনুসারীরাই দেখিয়েছেন। সভাপতি পদে নির্বাচন করা থেকে সরে আসা তরফদার সিনিয়র সহসভাপতি পদে মনোনয়ন কেনেন। একই পদে আগেই মনোনয়ন কেনা ইমরুল হাসানকে সহসভাপতি পদে নির্বাচন করতে বিভিন্ন মহল থেকে যোগাযোগ করেন তরফদারের পক্ষের লোকেরা।
দেশের ফুটবলে ‘ক্লিন ইমেজ’ ব্যক্তিত্বের অধিকারী বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। তরফদার আশায় আছেন, হয়তো ইমরুল হাসান সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু সামনে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের সুযোগ থাকলেও ভোটের মাঠ থেকে সরবেন না বলে গতকাল ব্যাংকক থেকে সমকালকে জানান ইমরুল, ‘যত কিছুই হোক না কেন, আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব না। আমার নামে সহসভাপতির মনোনয়ন ফরম তোলার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমি সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, যেন ভিপি পদে আমার নামে কেউ ফরম তুলতে গেলে না দেওয়া হয়। আর নির্বাচনে লড়াই হলেই তো ভালো।’ এই বিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হলেও তরফদারের কাছ থেকে মেলেনি কোনো সাড়া।
অথচ এই তরফদার রুহুল আমিনের সঙ্গে এক প্যানেলে থেকেই নির্বাচন করার কথা ছিল ইমরুলের। বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, তরফদার যখন সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ইমরুল হাসান। তাঁর প্যানেলে সিনিয়র সহসভাপতি প্রার্থী হবেন ইমরুল; এটাও চূড়ান্ত হয়েছিল। ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েও পরে চুপ হয়ে যান তরফদার। এর পর সভাপতি পদে তাবিথ আউয়াল নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর তো মুখে কুলুপ লাগে এ ক্রীড়া সংগঠকের। তাঁর নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকাটা কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে সভাপতি পদে তাবিথকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো অবস্থা থেকে দূরে সরে পড়েন তরফদার।
চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে কাউন্সিলর হওয়া তরফদারের ধীরে চলো নীতির কারণে পাল্টে যায় বাফুফে নির্বাচনের দৃশ্যপট। বাফুফের দু’বারের সাবেক সহসভাপতি তাবিথ আউয়াল খুঁজতে থাকেন তাঁর রানিংমেটদের। সেখানে সিনিয়র সহসভাপদি পদে ইমরুল হাসানের নাম উঠতে থাকে। গত সপ্তাহে এই পদে তিনি মনোনয়ন ফরম নিলে আরও বেকায়দায় পড়ে যান তরফদার ও তাঁর অনুসারীরা। তখন সমঝোতার পথ খুঁজতে থাকেন তারা। আলোচনায় এমনও উঠেছিল, তরফদারের ছেলে রুহুল সাইফকে সহসভাপতি পদে প্রার্থী ঘোষণা করা। কিন্তু বাফুফের মসনদে বসার স্বপ্ন দেখা তরফদার সেই পথে না হেঁটে একটা মতৈক্যে পৌঁছাতে তাঁর অনুসারীদের দায়িত্ব দেন। সমঝোতা না হওয়ায় সব পদেই প্রার্থিতা দিয়েছেন তারা।