নির্বাচনের আগে মেয়র-চেয়ারম্যান যা করতে পারবেন না

প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের স্বার্থে ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশিত হয়ে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিসহ মাঠ প্রশাসনকে এ নির্দেশনা দিয়েছে সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগটি। নির্দেশনা প্রতিপালনের পাশাপাশি কোনও ধরনের অবহেলা করলে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্কও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সই করা আদেশ সিটি ও পৌর মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের পাঠানো হয়।

১০ দফা নির্দেশনা

১. স্ব-স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা। ২. নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ/নির্দেশ দেবে তা প্রতিপালন। ৩. নির্বাচনি মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়। ৪. কোনও নির্বাচনি অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যেকোনও প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা। ৫ সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনও উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে না, যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে। ৬. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা কোনও প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে। ৭. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনও অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।

৮. মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনও যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। ৯. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনও প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ১০. ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনও প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।