নোয়াখালীতে সাপের কামড়ে ৩৫ জন হাসপাতালে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি

প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে গত দুই দিন বৃষ্টিপাত না হওযায় ধীরগতিতে মাত্র ৭ সে:মি: (দুই দিনে) পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বাসা-বাড়িতে এখনো হাঁটু ও কোমর পানিতে তলিয়ে থাকায় মানুষের দুর্গতির শেষ নেই। মানুষ থাকতে পারছেনা বাড়িঘরে। এ অবস্থায় অসহায় বানভাসি মানুষ ছুটছে আশ্রয় কেন্দ্রে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ৮ টি উপজেলার ৫০২টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ৭৬হাজার ২৩১ জন মানুষ ছিল। তা শনিবার বিকাল পর্যন্ত বেড়ে ৮২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ লাখ সাড়ে ৫৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বাস্তবে তার চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ স্বজন ও পরিচিতজনদের আশ্রয়ে রয়েছে। এখনো ২৫ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরকারি- বেসরকারি, রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর দেওয়া খাওয়ার পেলেও পানিবন্দী হাজার হাজার পরিবার পরিজন খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কষ্টের মধ্যে রয়েছে। সব চেয়ে কষ্টে আছে বয়োবৃদ্ধ, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুরা।
এ দিকে আজ সকালে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর রেল স্টেশন এলাকায় পানিবন্দী গুরুতর অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা মুক্তা বেগম (২৩) নামের নারীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে তাকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জেলার বিভিন্ন স্থানে সাপের কামড়ে আহত ৩৫ জনকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আরএমও মহি উদ্দিন আবদুল আজিম এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন আহতদের চিকিৎসা চলছে।
অপর দিকে জেলায় শুকনো খাওয়ার ও চাল- ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গবীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বহিরে চলে যাচ্ছে। জিসিপত্রের সংকট ও সরবরাহের দোহাই দিচ্ছেন ব্যবসায়ীর।