সেলিনা আক্তার:
অবশেষে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। শনিবার রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সচিব আবদুর রহমান খানের কাছে তিনি অনলাইনে পদত্যাগপত্র পাঠান। এফআইডি সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এফআইডি সচিবের কাছে গতকাল রাত ১০টায় একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শিবলী রুবাইয়াত। পদত্যাগপত্রটি গ্রহণের বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে এফআইডি।
গত এপ্রিলের শেষে প্রথম মেয়াদের চার বছর শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে তাঁকে পুনর্নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। তবে দ্বিতীয় মেয়াদের মাত্র তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করলেন শিবলী রুবাইয়াত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সরকার ও বিভিন্ন সরকারি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থায় দুর্নীতিবাজদের পরিবর্তনের রব উঠেছে। শিবলী রুবাইয়াতের আগে শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শিবলীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মানি লন্ডারিং ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে। তাঁর বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারের আইন ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শেয়ারবাজার পরিচালনারও অভিযোগ আছে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো– নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তি হওয়ার পরও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শেয়ার কারসাজিতে সহায়তা করেছেন এবং কারসাজির চক্রকে পরোক্ষ সহায়তার পাশাপাশি কারসাজির প্রমাণ পাওয়ার পরও দায়সারা বা নামমাত্র জরিমানা করে দায়মুক্তি দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালানোর পর ভীত হয়ে পড়েছিলেন শিবলী রুবাইয়াত। দাপ্তরিক বিদেশ সফর শেষে গত রোববার রাতে দেশে ফেরার পরও মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। অজ্ঞাত স্থানে এখনও আত্মগোপনে তিনি। এ অবস্থায় নিজের আস্থাভাজন কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেছেন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবারও ফোনে কয়েক কর্মকর্তাকে দাপ্তরিক বিভিন্ন আদেশ নির্দেশ দিয়েছেন।