পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মোঃ সাইফুল ইসলাম
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন।বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে কোন বিষয়ে বেশি আলোকপাত করা হবে? এতে তিস্তা নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কানেকটিভিটি, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, এসব বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে।’
‘এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় থাকবে। এর মধ্যে তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা আশা করছি,’ যোগ করেন তিনি।
সেহেলী বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে চীনের প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কি না; তা এখন বলা যাচ্ছে না। কারণ এজেন্ডাগুলো নিয়ে এখনো কাজ হচ্ছে। যদি ভারত এ বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখবো।’আগামী ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে যাবেন হাছান মাহমুদ। এটিই হবে তার জন্য প্রথম কোনো দ্বিপাক্ষিক সফর।
বাংলাদেশ বিনাফিতে ভারতকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে কি না- জানতে চাইলে সেহেলী সাবরীন বলেন, ‘ভারত যাতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারে, সে জন্য ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।’
‘বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল একটি স্থায়ী আদেশ জারি করে, যার ফলে ভারত এখন থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব শর্ত প্রযোজ্য হয়, সেসব বিষয় বিবেচনা করেই এই চুক্তি করা হয়েছে’, যোগ করেন সেহেলী সাবরীন।