পশ্চিমা প্রতিনিধিরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে বলেননি: কাদের

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৩

জাহাঙ্গীর আলম :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ সফরে আসা পশ্চিমা প্রতিনিধিরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার প্রত্যাশা করেছেন, তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি।

আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকালে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের মতবিনিময়ের আগে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের ঢাকা সফর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা সবাই নির্বাচনের জন্য আসছেন, তা নয়। তারা প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেছেন। তারা আসার আগে বিএনপি অপপ্রচারের মাধ্যমে ধারণাটি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যে এবার আর সরকারের উপায় নাই, তারা সরকারকে বিপদে ফেলবে, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসবে। তারা হয়তো সরকারকে বলবে, এভাবে নির্বাচন করো, পার্লামেন্ট ভেঙে যাবে—জনমনে সেই ধারণা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে?

পশ্চিমা প্রতিনিধিরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলেননি। এটি বলেছে। ভিসানীতি আসবে—এমন কোনও উক্তি করেননি। এটাই ছিল তাদের বক্তব্যের মূল কথা।

বিএনপি ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে বিদেশিদের পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিরা এদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেছেন। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সবাই একমত যে, আমরা সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করবো।

বিরোধীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বিএনপি জানে না তাদের দফা কয়টা— দল কয়টা, তাও জানে না। একবার দেখলাম ৫৪টা, আবার দেখলাম ৩২টা। রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ২৭ দল। তারা ডিসেম্বর থেকে গণঅভ্যুত্থানের তোড়জোড় করছে। বাস্তবতা হলো— গণঅভ্যুত্থান থেকে পদযাত্রা। তাদের কতটা অবনতি হয়েছে, তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ।

বিএনপির ‘সরকার পতনের’ একদফা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা হাঁক-ডাক দিয়ে নেতাকর্মীদের বুঝাতে চেয়েছে—এবার সরকার পতন। কিন্তু তারা গেছে পদযাত্রায়। তারা সেভাবে শক্ত সমাবেশ করতে পারছে না। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার জনপ্রিয়তা বিরোধীরা ভয় পায়।

এ সময় গণমাধ্যমের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যেটুকু পাবো, আপনারা সেটা দেবেন। আমরা বাড়তি কিছু চাই না।