নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিপদে চার লাখ টাকা ধার দিয়ে সাহায্য করা ব্যক্তিকেই করা হয় হত্যা। জুসে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে শ্বাসরোধ ও বিষ ঢেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে ভাড়াটে খুনি শাহিনুর। মানিকগঞ্জে আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর পিবিআই জানিয়েছে, টাকা ফেরত না দিতেই হত্যা করা হয় তাকে।
শনিবার (১০ জুন) রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মানিকগঞ্জ) এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রথমে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করা হয় রহিমকে। পরে শ্বাসরোধ ও মুখে বিষ ঢেলে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এরপর মরদেহ বাঁশঝাড়ের পাশে খালের পানিতে ফেলে দেয়া হয়।
এ কর্মকর্তা বলেন, শাহিনুর পেশাদার খুনি। আরও দুটি হত্যা মামলার আসামি তিনি
এলাকাবাসী জানান, আব্দুর রহিম মিয়া নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। গ্রামে কৃষি ও মজুরি যেকোনো কাজই তিনি করতেন। মূলত টাকার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তারা তার হত্যার বিচার চান।
আর দশটা দিনের মতো গত সোমবার সকালে বাজারে গেলেও আর বাড়ি ফেরেননি মানিকগঞ্জের কাকনা গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়া। দুদিন পর স্থানীয় একটি স্কুলের পাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে খালপাড়ে মেলে তার মরদেহ। মামলা করে পরিবার। সবার মনে প্রশ্ন: নিরীহ ব্যক্তিটির খুনি কে?
শুরু হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ছায়া তদন্ত। গত ৮ জুন গ্রেফতার করা হয় আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ঋণ নেয়া বিল্লালকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেশ কয়েক মাস ধরেই পাওনা চার লাখ টাকা ফেরত চাইছিলেন রহিম। টাকা না দিতেই হত্যা করতে ভাড়া করা হয় পেশাদার খুনি শাহিনুরকে।
নিহত রহিম মিয়ার স্ত্রী বাকপ্রতিবন্ধী। তিন সন্তানসহ পরিবারের দাবি খুনিদের সর্বোচ্চ সাজা।