জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরি উদ্ধারে ৮ম দিনের মতো উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের অভিযানে ফেরিটির একাংশ ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।
বুধবার(২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ৮ম দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ডুবে যাওয়া ফেরিটি টেনে তোলার চেষ্টা করে। এসময় ফেরির পেছনের কিছু অংশ দৃশ্যমান হয়।এদিকে ফেরির সঙ্গে ডুবে যাওয়া ৯টি ট্রাকের মধ্যে সাতটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুটি ট্রাক এখনো ডুবে আছে। ঝিনাই-১ জাহাজের মাধ্যমে ট্রাক গুলো শনাক্তের চেষ্টা চলমান।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ডুবুরি দলের সমন্বয়ক লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন জানান, ডুবন্ত ফেরির বিভিন্ন স্থানে ওয়ার রফ (স্টিলের মোটা তার) বাঁধার কাজ করা হয়েছে। ফেরির ভেতরে ১০টি এয়ার লিফটিং ব্যাগ ঢুকানো হয়েছে। ব্যাগ গুলোতে বাতাস ডুকনো হলে ডুবন্ত ফেরিটি ধিরে-ধিরে উপরের দিকে ভেসে উঠতে সহায়তা করছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের মাধ্যমে তা ভাসানো সম্ভব হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে আবারো উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্রথমে প্রত্যয় জাহাজের মাধ্যমে উল্টে যাওয়া ফেরিটিকে সোজা করা হবে। এরপরই টেনে তীরে নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে পাটুরিয়া পাঁচ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে ৯ টি ট্রাক নিয়ে রজনীগন্ধা নামের ইউটিলিটি ফেরি ডুবির ঘটনা ঘটে। ফেরিতে কোনো যাত্রীবাহী বাস ছিলো না। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। নিখোঁজ থাকেন রজনীগন্ধা ফেরির সেকেন্ড অফিসার হুমায়ুন কবীর। পাঁচ দিন পর দুর্ঘটনাস্থলের ছয় কিলোমিটার দূর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।