ডেস্ক রিপোর্টঃ
গতকাল থেকেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল ভারত। তাদের দেওয়া ৫৩৪ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যের বিপরীতে দেখার ছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরোধ কতক্ষণ টেকে। কিন্তু চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ২৩৮ রানেই শেষ হয়েছে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংস। তাতে পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে সফরকারীরা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যা রানের হিসেবে ভারতের রেকর্ড জয়। রানের হিসেবে আগের জয়টি ছিল ২২২ রানে। সেটা করেছিল ১৯৭৭ সালে মেলবোর্নে।
বিদেশের মাটিতে অবশ্য ভারতের তৃতীয় বড় জয়। তার আগে ২০১৯ সালে নর্থ সাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে এবং ২০১৭ সালে গলে শ্রীলঙ্কাকে ৩০৪ রানে হারানোর নজির ছিল ভারতের। ৩ উইকেটে ১২ রানে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে লড়াই করেছেন ট্রভিস হেড ও মিচেল মার্শ। দুজনের জুটিতে যোগ হয়েছে ৮২ রান। তার আগে স্মিথের সঙ্গে মিলেও ৬২ রান যোগ করেছেন তিনি। ফেরার আগে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। মার্শ করেছেন ৪৭। শেষ দিকে ৩৬ রানে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন অ্যালেক্স ক্যারিও। কিন্তু জসপ্রীত বুমরাদের বোলিংয়ের সামনে এই লড়াই যথেষ্ট ছিল না।
ভারতের জন্য এই জয়টা অবশ্যই স্বস্তির। ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় তারা খেলতে এসেছে। তাতে ভারত এই সফরে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি নিজেদের কাছে ধরে রাখতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে ছিল শঙ্কা। কিন্তু সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে তারা এখন অ্যাডিলেডে দিবা-রাত্রির টেস্টে খেলতে নামবে।
ভারপ্রাপ্ত বুমরার অধিনায়কত্বে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে সফরকারী দল। লড়াইটা ছিল একপেশে। ভারতকে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে বেঁধে ফেললেও তাদের বোলিং আক্রমণের কোনও জবাব দিতে পারেনি স্বাগতিক দল। ১০৪ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে। বল হাতেও পারেনি ভারতকে মোকাবিলা করতে। ব্যাট হাতে ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর কারিগর। ১৬১ রানের অসাধারণ এক ইনিংসে ভারত রানের পাহাড় গড়েছে। সঙ্গে ভূমিকা রেখেছে কোহলির ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ৩০ রানে ৫ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রানে তিনটি শিকার করে ম্যাচসেরা ছিলেন বুমরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে তিনটি নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৪৮ রানে দুটি নিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত ১৫০ (নিতিশ ৪১, পান্ত ৩৭; হ্যাজলউড ৪/২৯) ও ৪৮৭/৬ ডি. (জয়সওয়াল ১৬১, কোহলি ১০০*, রাহুল ৭৭; লায়ন ২/৯৬)
অস্ট্রেলিয়া ১০৪ (স্টার্ক ২৬, ক্যারি ২১; বুমরা ৫/৩০, রানা ৩/৪৮) ও ২৩৮ (হেড ৮৯, মার্শ ৪৭, ক্যারি ৩৬; বুমরা ৩/৪২, সিরাজ ৩/৫১)