পার্সোনাল কথা প্রফেশনাল জায়গায় নয়

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ 

অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা সবাই কমবেশি করেন। অফিসে ব্যস্ততার চূড়ান্ত থাকলেও সহকর্মীদের সঙ্গে সামান্য আড্ডা, দেয় স্বস্তি। আড্ডা দিতে বসলেই ব্যক্তিগত জীবনের অনেক বেফাঁস কথাও মুখ থেকে বের হয়ে যেতে পারে। অনেকে অবশ্য বুঝতেই পারেন না ফর্মাল আবহে কতটুকু কথা বলবেন। সীমারেখা কতটুকু হওয়া উচিত। দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করলে ফর্মাল আবহ ভেঙে বন্ধুত্ব হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আগে সীমারেখাও টানতে হবে।

আপনার পর্যবেক্ষণে
পেশাগত জীবনে চারদিকে পর্যবেক্ষণ রাখা জরুরি। কয়েকদিন কাজ করার পর ঠিকই বুঝবেন আপনার সহকর্মীরা কেমন। কার সঙ্গে কীভাবে মিশবেন সে সম্পর্কেও ধারণা হয়ে যাওয়া উচিত। ঠিক সেভাবেই সবার সঙ্গে মিশুন। সবার সঙ্গেই যে ফর্মালিটির আগল ভাঙতে পারবেন তা কিন্তু নয়। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি।

লোক দেখানো আলোচনা নয়
কয়েকজনের সঙ্গে মানসিকভাবে আপনি অনেকটাই কাছাকাছি বলেই হয়তো একটা সময়ের পরে কেজো কথার বাইরে দু’-চারটে ব্যক্তিগত আলোচনা করার ইচ্ছেটা জাগে। কমফোর্ট জোন থাকলেও সবসময় সব বিষয়ে আলোচনা করতে নেই। ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর সঙ্গে সাংসারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই পারেন। কিন্তু লোক দেখানো পারিবারিক সমস্যা, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য—এমন আলোচনা করা শোভন নয়।

অফিসে ব্যক্তিগত জীবনের আঁচ দেখাবেন না
অফিসে আচমকা ফোন। ফোন তুলেই জোরে জোরে ঝগড়ার সুরে কথা। আপনি চারদিকে পর্যবেক্ষণ না রেখেই এমনটা করেছেন। এমনটি করলে আপনি আর পাঁচজনের হাসির খোরাক হয়ে উঠতে পারেন। মুখের ওপর তারা কেউ কিছু না বললেও হয়তো আড়ালে-আবডালে আপনাকে নিয়ে আলোচনা করতেই পারেন। হতে পারে আপনার পছন্দের কেউ আপনাকে ভালো কোনো গিফট দিয়েছেন, এখন আপনি যদি কারো সামনে শো অফ করতে থাকেন বারবার—তাহলে অনেকে ভালো নাও ভাবতে পারেন।

অফিসকে ইনফর্মাল না বানানোই ভালো
কাজের ফাঁকে বন্ধুবান্ধবরা দেখা করতে আসতেই পারেন। তারা অফিস দেখবে আপনার। তবে বন্ধুদের আনাগোনা রোজকার বিষয় হলেও তা শোভন নয়। ছেলে বা মেয়ের সাফল্য, আগের রাতে রান্না করা নতুন কোনো ডিশ, বেড়াতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয় যেমন বাকিদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন, তেমনই একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করাই সবচেয়ে ভালো। অফিসকে ইনফর্মাল না বানানোই ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে।