‘পাহাড় ও সমতলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে’

প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের নেতারা বলেছেন, পাহাড়ে যে অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন হয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পাহাড়ে বসবাসরত সবাই বাংলাদেশি। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। পাহাড় ও সমতলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, পাহাড়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান শিগগিরই করতে হবে। একইসঙ্গে সারা দেশে ধর্ষণ, নির্যাতন বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি। মোরাল পুলিশিং, সাইবার বুলিং বন্ধেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা বলেন, দেশব্যাপী যে মব কিলিং চলছে তা বন্ধ করতে হবে। আমরা চেয়েছিলাম, এমন বাংলাদেশ যে দেশে সবাই হাতে হাত রেখে একসঙ্গে বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে একে অপরের বিপদে সহযোগিতা করবে। কিন্তু তা হচ্ছে না।

বক্তারা আরও বলেন, সমন্বয়ক থেকে শুরু করে সব জায়গায় নারীদের পেছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ জুলাই বিপ্লবে নারীরা সবসময় পুরুষের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জুলাই বিপ্লবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না মরার কারণ হলো নারীরা ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শত শত মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই দেশে নতুন করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অথচ আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মব কিলিং হচ্ছে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেন, ‘মব কিলিং, সাইবার বুলিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও জীবনব্যবস্থা নিশ্চিতের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র সংস্কার ও পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, একটা সাম্যের রাষ্ট্র গঠন করুন। নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করুন। নারীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হোন।’

মানববন্ধনে আরও ছিলেন– জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার বিউটি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুস্মিতা রায় প্রমুখ।