
চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার( পিআইও) অফিসে জনবল সংকটের কারণে সেবা নিতে আসা লোকজনকে অফিসার নিজেই সেবা দিচ্ছেন। অফিসের সকল কাজ নিজেকে দেখতে হয় বিধায় সেবা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অনেকটা অচলায়তন দেখে গেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের কার্যক্রমে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩ বছর যাবত ওই কার্যালয়ের একমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছাড়া অন্য পদসমূহ শূন্য রয়েছে। অফিসের দাপ্তরিক কাজ এবং ইউনিয়নর বিভিন্ন উন্নয়নমুলক প্রকল্প পরিদর্শন করেন তিনি নিজেই। অফিসে জনবল না থাকায় কক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করতে যেতে হয় ওই কর্মকর্তাকে।এতে করে পিআইও অফিসে আসা মানুষজন ওনাকে না পেয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পিআইও ছাড়াও উপ-সহকারী প্রকৌশলী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, কার্য-সহকারী ও অফিস সহায়ক পদ রয়েছে। কিন্তু এ কার্যালয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিজেই অফিস সহকারী, অফিস সহায়কসহ সকল দায়িত্ব পালন করছেন।
এ উপজেলায় শুধু মাত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সেতু প্রকল্পের একজন কার্য সহকারী পদায়ন রয়েছে। প্রায়শই দেখা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কার্য সহকারী প্রকল্প তদারকি কাজে মাঠে থাকার সময় কার্যালয়টি তালাবন্ধ থাকে। এতে দুর্যোগে সাড়াদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, বর্তমানে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ০২টি বন্যাশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ৪৩টি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি টিআর-কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া কম্বল, ঢেউটিন, শুকনো খাবার, জিআর কর্মসূচী রয়েছে। বাৎসরিক বাজেট বিবেচনায় এই উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে চলতি অর্থ বছরে ন্যুনতম ১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জনবল সংকট থাকলেও এরই মধ্যে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। প্রকল্প মনিটরিং কাজ কিছুটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা সঠিকভাবে প্রকল্পসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন জানান, জনবল সংকটের বিষয়ে আমি বিগত মার্চ মাসে একটি স্মারক পত্রের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণের জন্য মহাপরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস কম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের কর্মসূচী সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন।