হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হবিগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা থেকে সংঘর্ষের সূচনা হয়। যা সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। এতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও গুলিতে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শনিবার বিকেলে জেলা বিএনপির আয়োজনে শায়েস্তানগর এলাকায় পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রার শেষ দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতা জি কে গউছের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পুলিশের ওপর ব্যাপক ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। অপরদিকে পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা টিয়ারশেল থেকে বাঁচতে সড়কে আগুন দেন। এ সময় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ অন্তত ১০ পুলিশ আহত হন। তাদেরকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শনিবার বিকেলে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা শুরু করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় বিনা উস্কানিতে বিএনপির এ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে পুলিশ। এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিকালে সংঘর্ষ বেধে যায়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা শহরেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে বিএনপির প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, বিএনপির পদযাত্রা থেকে অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। কত রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে, তা পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোটা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।