নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের সদ্য প্রয়াত প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের শেষকৃত্যে অংশ নেবেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারানো প্রিগোজিনের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার ‘কোনো পরিকল্পনা নেই’ পুতিনের। খবর রয়টার্সের।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, প্রিগোজিনের শেষকৃত্যে পুতিন যোগ দেবেন কী না। এর উত্তরে পেসকভ বলেন, প্রিগোজিনের শেষকৃত্যে পুতিনের উপস্থিত থাকার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।
পেসকভ জানান, ওয়াগনার প্রধানের শেষকৃত্য নিয়ে ক্রেমলিনের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এটা তার পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
গত ২৫ আগস্ট প্রিগোজিনের প্রাইভেট জেটটি মস্কোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে ‘এমব্রায়ের লিগ্যাসি’ নামের বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিমানে থাকা ১০ আরোহীর সবাই নিহত হন।
প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে অবশ্য শুরুতে কিছুটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ২৭ আগস্ট রুশ তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেন, উড়োজাহাজ থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষায় প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন ওয়াগনারপ্রধান। ইউক্রেন যুদ্ধেও রাশিয়ার হয়ে লড়াই করেন ওয়াগনার যোদ্ধারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোজিনের। এরই মধ্যে গত ২৩ জুন হঠাৎ বিদ্রোহ করে বসেন তিনি।
এ সময় দলবল নিয়ে ওয়াগনারপ্রধান মস্কোর দিকে এগোতে থাকেন। এ ঘটনায় গোটা মস্কো অঞ্চলে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। পরে পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোজিন মস্কো অভিমুখে যাত্রা স্থগিত করেন।
এর ২ মাসের মাথায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যু হলো। এ ঘটনায় পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে মার্কিন গোয়েন্দারা। তবে প্রিগোজিনকে হত্যায় নির্দেশের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।