কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
পৌষের মধ্যভাগে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। কনকনে শীতে নাকাল জনজীবন। বিশেষ করে এই শীতে সবচেয়ে চরম হয়ে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের দিনমজুররা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে এই উপজেলার তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ থেকে উত্তরের এই জনপদে বৃষ্টির মতো গুড়ি গুড়ি কুয়াশা পড়ছে। মধ্যরাত থেকে এই কুয়াশা পড়া শুরু হচ্ছে।
সকাল পার হলেও এখন পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না উত্তরের এই জনপদে। ফলে বিকেলের পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ঠাণ্ডা ও ঠাণ্ডার উপসর্গজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন শিশু ও প্রবীণরা। এদিকে হাড়কাঁপানো শীতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন অনেকে।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা গ্রামের কৃষক শৈলান চন্দ্র রায় ও গজেরকুটি গ্রামের কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে বোরো বীজতলা ও আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের উত্তরের এই জনপদে মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।’