মাঠের পারফরম্যান্সে নেই। বিশ্বকাপের সময় চোট, ফিরলেও দলকে সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ। এরপর ক্লাব ফুটবলেও একই ছবি। ফলে পিএসজির হয়ে সময়ের আগেই শেষ হয়েছে নেইমারের মৌসুম। মাঠের মধ্যে নেইমার বর্ণহীন হলেও মাঠের বাইরে রঙিন জীবনযাপন করছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
কিছুদিন আগেই ব্রাজিলিয়ান সংবাদকর্মী এরলান বাস্তোস দাবি করেছিলেন, সন্তানসম্ভবা প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দিকে না জানিয়েই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ইনফ্লুয়েন্সার ফার্নান্দো কাম্পোসের সঙ্গে প্রেম করেছেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ল্যান্স’ জানিয়েছে, কাম্পোস নিজেই জানিয়েছেন যে সর্বশেষ ভালোবাসা দিবসে ব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে ভালোবাসায় মজেছিলেন তিনি। ব্রাজিলের অনলাইন সংবাদমাধ্যম মেট্রোপলিসকে নিজের দাবির সমর্থনে প্রমাণও দেখিয়েছেন কাম্পোস।
এরপর নিজের ভুল স্বীকার করে প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দির কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। কিন্তু নেইমার সেই ভুল থেকে শিক্ষা নেননি।
মার্কার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক মডেল সেলেস্তে ব্রাইটকে ইনস্টাগ্রামে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
ইনস্টাগ্রামে ১৩ লাখ অনুসারী আছে সেলেস্তের। সেলেস্তে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সেই ছবিতে করতালির ইমোজি দিয়ে টেক্সট করেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। সেলেস্তে বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি। নেইমারের সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে সেলেস্তে লিখেছেন, ‘এই ঘটনার আগে আমি জানতাম না তিনি (নেইমার) কে। প্রেমিকা কিংবা বউ থাকলে মেয়েদের এমন বার্তা পাঠানো অনুচিত। এটা ঠিক না। নিজের সঙ্গীর প্রতি ভীষণ অসম্মানজনক।’
এ ঘটনার পর শুক্রবার নেইমার টুইটারে একটি পোস্ট দেন, ‘আর কেউ আছে?’ পিএসজি তারকার এই পোস্টে নেটিজেনরা আন্দাজ করে নেন, নেইমার সম্ভবত তার প্রতি ওঠা অভিযোগ নিয়ে জোক করছেন।
নেইমারের এই পোস্টের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার প্রেমিকার বোন বিয়ানকা বানকার্দি। নেইমারকে একহাত নিয়ে ব্রুনার বোন লিখেছেন, ‘ওর (নেইমার) মধ্যে মূল্যবোধ ও চরিত্রের ঘাটতি আছে। লজ্জিত না হয়ে সে এ পরিস্থিতি নিয়ে মজা করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে হাস্যরস চলছে, যা আমার বোনকে আবারও লজ্জায় ফেলেছে। সে মনে করে বাকিরা তার মানসম্মানের হানি করতে চায়, আসলে সে নিজেই নিজের সম্মানহানি করছে। একটা মানুষ যার মধ্যে পৌরুষের অভাব আছে, পরিণত হতে চায় না এবং কৃতকর্মের জন্য নিজেই দোষ স্বীকার করে।’