বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমানের সমাধিস্থলে নবনির্বাচিত কমিটির শ্রদ্ধাঞ্জলী

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব বজলুল রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মুনাজাত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হারুন অর রশিদ ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জনাব তামজীদ বিন রহমান তূর্য এর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিন কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিত দোয়া ও মুনাজাতে ছিলেন সহ-সভাপতি-মোঃ শহিদুর রহমান, এ.এস.এম সামসুজ্জোহা, এম.এ কাশেম, মোঃ শাহ আলম, এডভোকেট শওকত আলম, মোতাসিম বিল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুস সাত্তার, জি এইচ এম কাজল ও মাহবুবুর রহমান খান। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-এম. এ এলাহী শিমুল, শাহ রেজাউল মাহমুদ, এফ এম জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক-তমাল আহমেদ খান, সাইফুল ইসলাম অপু, মোঃ আলমগীর হোসেন, নুর আলম খান পাপ্পু, মনির হোসেন স্বপন, আরেফিন রহমান রাসেল, ওয়াহিদুর রহমান দুলাল ও সোহেল রানা।

দপ্তর সম্পাদক-ড. সরকার আবুল কালাম আজাদ,

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক-এ.বি.এম মুসা (সেলিম রেজা), সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক-মোস্তাকিম রেজা, সহ দপ্তর সম্পাদক-মোঃ মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুরসালিন, সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক-বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুর নাহার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ নাজমুল ইসলাম কিরন সেরনিয়াবাত, আইন বিষয়ক সম্পাদক-এডঃ নকিব সাইফুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক-মঈন উদ্দিন হাসান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-রেজাউল করিম মল্লিক টুটুল, সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-রাসেল মুন্সী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পদক-এনাম আহমেদ নাসির, ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক-আবুল হাসনাত কবির, সহ- ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক-আশিক হোসেন, সহ- শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক-এ এস এম রায়হান মামুন, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক-অধ্যাপক সাজেদুল ইসলাম, সহ- শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক জসিম উদ্দিন জাহেদী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক-ডাঃ রাজিব দে সরকার, সহ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক-ডাঃ সাইফুল ইসলাম, শ্রম ও জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক-আহসান হাবীব, সহ- শ্রম ও জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক-তওফিক হোসেন খিজির, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক-রবিউল ইসলাম বাবলু, সহ- কৃষি ও সমবায় সম্পাদক-হেলাল উদ্দিন তালুকদার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক-জাহাঙ্গীর আলম, সহ- যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক-মীর মোঃ রাশেদ, সহ- সাংস্কৃতিক সম্পাদক-ইঞ্জি. মোঃ রকিবুল হাসান উইন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক-শাহনাজ বেগম তানিয়া ও সহ- মহিলা বিষয়ক সম্পাদক-শাহিনুর বেগম রোজি।

নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত সৈয়দ কামরুল ইসলাম, এ.কে.এম. নূরুজ্জামান, মুন্সি ফারুক আহমেদ, আমিনুল হক রতন মোল্লা, শেখ শফিউল আলম মানিক, মোঃ নরুল আলম পাটোয়ারি, জালাল উদ্দিন, মোঃ ওসমান গণি, মোঃ ওয়াদুদ মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন রিপন, হাজী ইকবাল, সাংবাদিক আলী আশরাফ, মোঃ মিজানুর রহমান, জেসমিন আহমেদ, শেখ মোঃ লিটন, জেসমিন সুলতানা পুষ্পা, এড. আমজাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জিয়াউল করিম, মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, মাহমুদ আলী সুমন, এড. রোমেল মোল্লা, আবুল বাসার, লায়ন তানজিল হাসান ও সাবরিনা শান।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ সাইফুল ইসলামসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ।

পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজিবি স্মৃতিসৌধের মুল ফটকের সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপি’র দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে বক্তব্য রাখেন-বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন উর রশীদ এবং মরহুম আলহাজ্ব বজলুর রহমানের সন্তান. তারুন্যের অহংকার. বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তামজীদ বিন রহমান তূর্য এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- এম. এ এলাহী শিমুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এরপর বিএনপির দেশবিরোধী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। মিছিলটি মাজার রোডের শেষপ্রান্তে এসে শেষ হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখসমরের সাহসী গ্রুপ কমান্ডার, বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কর্মকর্তা, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. বজলুর রহমানে পুত্র বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব তামজীদ বিন রহমান তূর্য।

উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে সর্বপ্রথম ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বজলুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৬২ সালে বরিশালের আসমত আলী খান হাইস্কুল ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হিসাবে। এ সময় তিনি ‘হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন আন্দোলন’ করে গ্রেফতার হন। ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলনে গ্রেফতার হন। ১৯৬৯ সালে ১১ দফা আদায়ের গণ-অভ্যুত্থানে সান্ধ্য আইন ভঙ্গের দায়ে গ্রেফতার হন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ধানমন্ডিতে হানাদারদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের আগরতলায় পৌঁছান। মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরের মেলাঘর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ১৭নং প্লাটুনের টু আইসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার উত্তরে অপারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রুপ কমান্ডার হিসাবে মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার, কল্যাণপুর ব্রিজ, মিরপুর ব্রিজ, সোলাটেংলার রাজাকার ক্যাম্প, গ্রিনরোড রেডিও অফিস, ভূতের গলি, গোপীবাগ, রামপুরা, ধানমন্ডি ওয়াপদা সাবস্টেশনসহ বহু সফল অপারেশনে নেতৃত্ব দেন তিনি। উল্লেখ্য, ঢাকার অপারেশনগুলো মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ক্র্যাক প্লাটুন এবং আব্দুল আজিজের প্লাটুনের সমন্বয়ে পরিচালিত হতো। ১৬ ডিসেম্বর সকালে শাহবাগস্থ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রেডিও অফিস দখলে নেওয়ার জন্য বজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটিই প্রথম আক্রমণ পরিচালনা করে। উভয় পক্ষে ব্যাপক গুলিবিনিময় হলে বজলুর রহমানের একজন সহযোদ্ধা নিহত হন। তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মাকভাবে আহত হন।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা (রাজনৈতিক) হিসাবে নিয়োগ পান। ১৯৭২-৭৩ সালে ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে গোলাগুলির শব্দে দৌড়ে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কারফিউ থাকায় যাওয়ার সাধ্য হয়নি। পরদিন সান্ধ্য আইন এক ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যান, যার সাক্ষী ছিলেন শেখ কবির এবং ডিএসপি ইউসুফ সাহেব। পরে বজলু সাহেবকে জিগাতলার বাসা থেকে তার সহযোগী অসিত সরকার সজল ও মানু মজুমদারসহ (বর্তমানে এমপি) গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর তাদের ধানমন্ডি থানায় রাখা হয় ১৭ দিন, তারপর নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে। নির্যাতনে প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ছয় মাস হাঁটতে পারেননি। তাদের বিচার শুরু হয় ১নং বিশেষ সামরিক আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে। বিচারে মো. বজলুর রহমান ও তার দুই সঙ্গীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এটি ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ঘোষিত প্রথম ফাঁসির দণ্ডাদেশ। ৯ বছর কারাভোগের পর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ১৯৮৫ সালের ১৯ জুন তিনি মুক্তিলাভ করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায়ও তিনি আহত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর তিনি ইন্তেকাল করেন।