বঙ্গোপসাগরে এলএনজি টার্মিনাল আংশিক চালু

প্রকাশিত: ২:১১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের মহেশখালীতে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার দিনভর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। ফলে সারাদেশেই বাসা-বাড়ি, শিল্প কারখানায় চরম সংকট দেখা দেয়। চট্টগ্রামের গ্যাস চাহিদা পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর হওয়ায় সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে সেখানে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেয়। পরে শুক্রবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে টার্মিনালটি আংশিক চালু করা সম্ভব হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার। টার্মিনাল চালু হলেও পূর্ণ ক্ষমতায় চালু হতে সময় লাগবে বলে জনেন্দ্র নাথ জানিয়েছেন।

কর্ণফুলি গ্যাস কোম্পানির (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, এলএনজি টার্মিনালের সমস্যার কারণে শুক্রবার ভোর থেকেই গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সংস্কার হয়ে আসা টার্মিনাল কমিশনিং করতে গিয়ে সমস্যা দেখা দিলে এ সংকট হয়।

আমদানি করা এলএনজি রূপান্তরে কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। এর মধ্যে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি সংষ্কারের জন্য গত ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ। বৃহস্পতিবার এটি চালু হওয়ার কথা ছিল। চালু করতে গিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। সামিটের এলএনজি টার্মিনালটি সংস্কারে যাওয়ায় সেটিও বন্ধ।

ফলে এলএনজি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস সরবরাহ শুক্রবার দিনভর বন্ধ ছিল। রাত ১০টার পর চালু হলেও গ্যাস রুপান্তর শুরু হয় ধীর গতিতে। টার্মিনালটির গ্যাস রুপান্তরের সক্ষমতা ৫০ কোটি ঘনফুট। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে শনিবার ভোরে সক্ষমতার অর্ধেক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। ধীরে ধীরে পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো হবে।