বন্ধ থাকা পাটকল-চিনিকল চালুর দাবি

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৪

ঢাকা প্রতিনিধি:

সারা দেশে বন্ধ থাকা পাটকল ও চিনিকল আধুনিকায়ন করে চালুর দাবি জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে দুটি বিষয়ে আলাদা আলাদা দাবি জানানো হয়।
চিনিকল বিষয়ে পরিষদের দাবিগুলো হচ্ছে– বন্ধ সব চিনিকল চালু করতে হবে। চাকরি হারানো সব শ্রমিককে চাকরি দিতে হবে; চিনিকলের শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিতে হবে; শূন্য পদে দ্রুত জনবল দিয়ে উৎপাদনে সচলতা আনতে হবে; অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের গ্রাচ্যুইটি ও অন্যান্য বকেয়া পাওনা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে; বেসরকারি আমদানি নিষিদ্ধ করে কর্পোরেশনের দায়িত্বে সব চিনি আমদানি, পরিশোধন ও বিপণন নিশ্চিত করতে হবে; এ বছর ২৫ অক্টোবর থেকে মাড়াই মৌসুম চালু এবং মণ প্রতি ৩০০ টাকা দরে আখ মিলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আখ চাষিদের পাওনা টাকা দিতে হবে; মাড়াই শুরুর এক মাসের মধ্যে সব চাষির পুঁজি পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে; দুর্নীতি বন্ধ করে আখের সঠিক ওজন নিশ্চিত করতে হবে; রাসায়নিক সার ন্যায্য দামে সরবরাহ করতে হবে। জোনভিত্তিক হিসাবে দূরবর্তী জোনে আখ চাষিকে নিজস্বভাবে আখ মাড়াই করে গুড় করার অধিকার দিতে হবে এবং সব আখ চাষি সংগঠনের এবং সব চিনিকল শ্রমিক সংগঠনের ন্যায়সংগত দাবি মানতে হবে।

অন্যদিকে, একই মানববন্ধন থেকে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে লতিফ বাওয়ানী জুটমিল ও করিম জুটমিলের শ্রমিকরা। একইসঙ্গে তারা লতিফ বাওয়ানী জুটমিল ও করিম জুটমিলসহ ২৬টি বন্ধ জুটমিল চালু করার দাবিও জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে– করোনায় লকডাউনের সময় বদলি শ্রমিকের ২০২০ সালের দুই মাসের টাকা দিতে হবে; ২০২০ সালের ১ ও ২ জুলাই দুইদিনের বেতন দিতে হবে; ২০২০ সালের একটি ফুল বোনাস দিতে হবে; ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৮টি বোনাসে এরিয়ার দিতে হবে; ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি বৈশাখী ভাতার এরিয়ার দিতে হবে; স্থায়ী শ্রমিকদের ছুটির পাওনা ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দিতে হবে।

এ ছাড়া সাবেক সরকার বলছে ২ মাসের ভেতরে পাওনা টাকা দেবে এবং ৩ মাসের মিল চালু করবে; ৫ বছর হয়ে গেলেও উৎপাদন বন্ধ মিলে স্টাফরা যে বেতন নিচ্ছে, সেটি বন্ধ করতে হবে; সাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এক রাতে ২৬টি জুটমিল বন্ধ করে দেন, যাতে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার ও অসহায় হয়ে পড়ে, এটির বিচার করতে হবে; আমরা বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধানের কাছে প্রত্যেক শ্রমিক ১ লাখ টাকা সম্মানী ভাতা পাওয়ার আবেদন করছি। প্রতিটি জুটমিলের মহাব্যবস্থাপক এবং বিজিএমসির সাবেক চেয়ারম্যান ও পাট সচিব এবং গোলাম দস্তগীর গাজীর দুর্নীতি বিচার চাই।